২০১৯ সালে গ্রামেরই উচ্চ বর্ণের এক ব্যক্তি বিক্রম সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর গ্রামেরই দলিত সম্প্রদায়ের এক তরুণী৷ সম্প্রতি, সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করছিলেন এই বিক্রম ও তাঁর দলবল৷
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার ফের দলবল নিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয় বিক্রম৷ প্রথমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় তারা৷ কিন্তু, তরুণীর মা রাজি না হওয়ায় ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্রমের দলবল সেখান থেকে বেরিয়ে যায়৷
এদিকে, বাড়ি থেকে কিছু দূরেই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল ওই তরুণীর ভাই বছর আঠেরোর নিতিন আহিরওয়াড়৷ অভিযোগ, বিক্রম ও তাঁর দলবল সেখানে তাঁকে দেখতে পেয়েই রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে৷
ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে ছুটে যান ওই মহিলা৷ অভিযোগ, এরপর তাঁকেও সেই ভরা রাস্তার মাঝখানে বিবস্ত্র করা হয়৷ তারপর তাঁকে ফেলে মারধর করে ঠাকুরের লোকজনেরা৷
আরও পড়ুন: ‘ওখানে লুকিয়ে বোমা তৈরি হতো’! বারাসত বিস্ফোরণস্থলে কী হত জানতে NIA তদন্ত দাবি বিজেপি-র
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আতঙ্কিত ওই তরুণী বলেন, ‘‘ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে নিতিনকে দেখতে পায়৷ তার পরে ওকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে৷ মা যখন ওকে বাঁচাতে যায়, তখন মাকে মারে, জামাকাপড় খুলে দেয়৷ আমার মা- ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমি ওদের হাতেপায়ে পড়ি৷ তখন ওরা আমাকে ধর্ষণ করার ভয় দেখায়৷ আমি ভয়ে তখন জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিলাম৷’’
স্থানীয় পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছরের ওই তরুণের৷ মূল অভিযুক্ত সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এছাড়া, দলিত নিগ্রহের ঘটনার জন্য তফশিলি জাতি উপজাতি আইন ৩০২ ধারা অনুযায়ীও মামলা করা হয়েছে৷’’