সুশীল যাদব একটি প্রাইভেট ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ফতেহপুরের খাগা নিবাসী মনীষার সঙ্গে। সবকিছু ভালই চলছিল, কিন্তু কিছু সময় পর সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। সেদিন রাতে সুশীল গিয়েছিলেন বাইরে। তাঁর বাবা ছাদে ঘুমাচ্ছিলেন। তখন স্ত্রী গোপনে এমন কিছু করে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। শুনলে শিউরে উঠবেন। শুরু থেকে বলা যাক।
advertisement
মনীষার সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনীষা এবং সুশীলের একটি ছেলে ছিল কিন্তু সে ছেলে এবং স্বামীকে ছেড়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে ফিরে আসতে বলেছিল। মনীষা শোনেনি। অবশেষে তিন দিন আগে মনীষাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু মনীষা প্রেমিকের কাছে থাকার জেদ ধরে রেখেছিল। পরিবারের লোকেরা তার কথা শোনেনি। তারা ভেবেছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বুঝে যাবে। কিন্তু মনীষা ভাবতে শুরু করেন যে, তাকে তার ছেলের কারণে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মনীষা তার ছেলেকে খুন করে। তারপর ছেলের মৃতদেহ তার ঠাকুরদার কাছে ছাদে শুইয়ে দেয় এবং চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়। নীচে এসে সে প্রতিদিনের মতো এমনভাবে রান্না করতে শুরু করে, যেন কিছুই হয়নি। ঠাকুরদা চাদর সরিয়ে দেখেন শিশুটিকে দেখে চমকে ওঠেন। তিনি চিৎকার করলে গ্রামের লোকেরা জড়ো হয়। পুলিশ এবং ফরেনসিক টিমকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করা হয় এবং মনীষাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মনীষা ছেলের হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে যে তার প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল, তাই সে তাকে সরিয়ে দিয়েছে। গ্রামের লোকেরা জানিয়েছে যে সুশীল যাদব এবং মনীষার এর আগেও দুই সন্তান ছিল। তাদের রহস্যমৃত্য হয়েছে। গ্রামবাসীরা বলেছে যে এই ঘটনার পর মনে হচ্ছে মনীষাই সেই দুই শিশুরও হত্যা করেছে। কারণ আজ পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হয়নি। পরিবারের লোকেরাও পুলিশকে না জানিয়ে তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিল।
সুশীল যাদবের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হত্যাকারী মা মনীষা এবং গ্রামের বাসিন্দা তার প্রেমিক বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত বিকাশের বাড়িতে তিন ভাই, বাবা-মা আছেন। বিকাশ বিহারে একটি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
