৩৬ বছর বয়সী সীমা দেবী প্রথমে তার সন্তানদের—তারুণ (৬), তানিয়া (৪) এবং তানিষ্ক (২)—কে মারধর করেন। এরপর তাদের একে একে কুয়োর প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বার ছুরির কোপ, একাধিক ভাঙা হাড় ও কাটা গলা! ভয়ঙ্কর কাজল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি…
এই নির্মম ঘটনার কী কারণ? জানা গিয়েছে, সীমা দেবীর সঙ্গে তার স্বামী চন্দন মহাত্থার তীব্র বাদানুবাদ হয়। এরপর তিনি স্বামীকে জানান যে তাদের সন্তানরা নিখোঁজ। চন্দন মহাত্থা তখন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
advertisement
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে এবং শিশুদের মরদেহ তাদের বাড়ির কাছের এক কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, “প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত চলাকালীন সীমা দেবী তার অপরাধ স্বীকার করেন। ফলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”
ময়নাতদন্তের পর শিশুদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পুলিশ শিশুদের বাবার বিবৃতি রেকর্ড করে এফআইআর দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মা তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।