লোকসভায় কেরালার কংগ্রেস সাংসদ ভি কে শ্রীকন্দনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় এই সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, 'লোকসভা এবং রাজ্যসভা সম্পর্কিত কমিটি সিএএ বিধিমালা বাস্তবায়নের জন্য যথাক্রমে ৯.৪.২১ এবং ৯.৭.২১ পর্যন্ত সময় দিয়েছে।'
আরও পড়ুন রাজ্যে স্কুল খোলার ভাবনা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে, জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
advertisement
নাগরিকপঞ্জির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার ভাইরাসের অতিমারীর কারণে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (NPR) আদমশুমারি (Census)আপডেটের প্রথম পর্যায়ে স্থগিত করা হয়েছে।
এই নিয়ে তৃতীয়বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিএএ-র বিধি বাড়ানোর জন্য সময় বাড়িয়েছে। অধিকারিকদের মতে, প্রথমবার জুলাইয়ে এবং দ্বিতীয়বার অক্টোবরে সময় চাওয়া হয়েছিল। সংসদীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী, এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য বিল তৈরির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে বিধি মেনে কাজ করতে হবে।
যদিও মনে করা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে সম্ভবত CAA কার্যকর করা হতে পারে। কারণ বাংলার ভোটে নাগরিকত্ব আইনকে তরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বিজেপি, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও একই সময় বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত অসমে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে প্রথম থেকেই।
তবে বাংলার নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নাগরিকত্ব আইনের তথ্য একেবার উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলা এক বিজেপি নেতা। তিনি জানান যে, সিএএ কার্যকারী হওয়া পিছিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাংলার নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর মতে, এই আইন বিজেপি সরকার এনেছে। তাই আইন বাস্তবায়নে যতই দেরি হোক না কেন সকলে বিজেপিকেই এর জন্য ধন্যবাদ জানাবে, যা ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাস হয়েছিল। এর পর থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। দিল্লির শাহীনবাগে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ চলে।
