আর প্রধানমন্ত্রী আসার আগে রাতারাতি ঝা চকচকে করে দেওয়া হল হাসপাতালের জরাজীর্ণ চেহারা৷ রাতভর রং করে, নোংরা- আবর্জনা সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হল হাসপাতালকে৷ যে হাসপাতাল চত্বরের পরিবেশ এখনও প্রিয়জনদের হারানোর কান্নায় ভারী হয়ে রয়েছে৷ অনেক দেহের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়নি৷
এই অবস্থায় কেন প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে হাসপাতালের ভোলবদলের চেষ্টা করা হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি৷ সামনেই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন৷ মোরবির ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনায় এমনিতেই মারাত্মক চাপে ভূপেন্দ্র পটেল সরকার৷
advertisement
তার উপর নরেন্দ্র মোদির জন্য হাসপাতালের এই ভোল বদলের চেষ্টাকেও হাতিয়ার করে বিজেপি-কে আরও চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দুই বিরোধী দল৷ রাত জেগে হাসপাতাল সাফ সুতরো করার যে কাজ চলেছে, তার ছবি এবং ভিডিও ট্যুইট করেছে কংগ্রেস এবং আপ৷
আপ-এর ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, 'মোরবি সিভিল হাসপাতালে রাতারাতি রং, পুট্টি করার কাজ চলছে৷ যাতে আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী মোদির ফোটোশ্যুটের সময় হাসপাতাল ভবনের বেহাল দশা সামনে চলে না আসে৷ ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, শতাধিক মানুষ নিখোঁজ, আসল দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না৷ অথচ বিজেপি নেতারা মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ফোটোশ্যুট করতে ব্যস্ত৷'
হাসপাতালে রং সাফাইয়ের কাজের একাধিক ছবি দিয়ে ট্যুইট করেছে কংগ্রেসও৷ তারা লিখেছে,'আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী মোদি মোরবি সিভিল হাসপাতালে আসবেন৷ তার আগে রং- পুট্টির কাজ চলছে৷ চকমকে টাইলস বসানো হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর ছবি তুলতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এদের লজ্জাও নেই৷ এত মানুষের মৃত্যুর পরেও এরা ইভেন্টবাজি করতে ব্যস্ত৷'
যে কর্মীরা হাসপাতালে কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন 'ইন্ডিয়া টুডে'-কে জানিয়েছেন, তাঁদেরকে কাজ করার জন্য রাজকোট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে৷ হাসাপাতালে গিয়েও দেখা যায়, গোটা হাসপাতাল চত্বর সাফ সাফাই এবং মেরামতি কাজ নিয়ে সরগরম রয়েছে৷ নতুন ওয়াটার কুলার, নতুন বেড সবই নিয়ে আসা হয়েছে৷ সবকিছু দেখে কে বলবে, মাত্র কিছু ঘণ্টা আগে এই হাসপাতালেই নিয়ে আসা হচ্ছিল একের পর এক মৃতদেহ এবং ব্রিজ ভেঙে আহত মানুষকে৷