উত্তরপরদেশের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ক্রমশ ঘটনাবহুল হয়ে উঠছে।উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া এখন ভারতীয় জনতা পার্টি। তার অঙ্ক কষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য জিতিন প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ ভোটকে নিজেদের দিকে রাখতেই জিতিনকে গেরুয়া শিবির টেনেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে জিতিনের বিজেপি যোগের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই দিল্লি গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাই তাঁর এই সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির।
advertisement
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জন্মদিন গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। জন্মদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছাবার্তা এলেও একটি শব্দও খরচ করেননি নরেন্দ্র মোদি। তখনই নতুন জল্পনার জন্ম, মোদি-যোগী দূরত্ব কি বাড়ছে? আর এই ঘটনাপ্রবাহেই নয়া মোড় জিতিন প্রসাদ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর এই জোড়া বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার মূল কারণ কড়া নাড়ছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। যোগী কি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন, প্রশ্ন উঠছে।
প্রশ্নটা মূলত যোগীর পারফরম্যান্স নিয়ে। সেই হাথরাস কাণ্ড থেকে শুরু করে করোনা মোকাবিলা, একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়েছেন যোগী। এমনকি দলের বা প্রশাসনের অন্দরেও তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মোদি-শাহ অবশ্য এই নিয়ে আলাদা করে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বরং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তিনিই, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও যোগী সন্তুষ্ট নন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
