এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মোদি বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে পুতিন আমাদের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের সূত্রপাত হয়েছিল। ভারতের প্রতি পুতিনের দায়বদ্ধতা এবং বন্ধুত্বের জন্য আমি আমার বন্ধু পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই৷’’
মোদির কথায়, ‘‘ভারত-রুশ বন্ধুত্ব সময়ের সব পরীক্ষায় পাশ করেছে৷ আজ আমরা এই বন্ধুত্বকে আরও পোক্ত করতে আলোচনা করেছি৷’’ এরপরেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ জানান, ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত এবং রাশিয়া একটি ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রামে সম্মতি হয়েছে৷
advertisement
মোদি জানান, ‘‘এরপরে আমাদের দু’জনের ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে দেখা হবে৷ এক্সপোর্ট এবং কোঅপারেশনের রাস্তা খুলবে দু’দেশের৷ কৃষি এবং ফার্টিলাইজারের ক্ষেত্রেও আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক কৃষকদের জন্য অনেক লাভদায়ক হবে। ভারত এবং রাশিয়া একসঙ্গে তৈরি করবে ইউরিয়া৷’’ শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও রাশিয়া ভারতকে নতুন সুযোগ দেবে বলে জানান তিনি৷
অন্যদিকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন৷ জানান, এই বৈঠকের পরে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হবে৷
আরও পড়ুন: দেশের ৩টি ব্যাঙ্ককে সবচেয়ে নিরাপদ ঘোষণা করে দিল RBI, বিবৃতি জারি করে D-SIB তকমা
পুতিন বলেন, ‘‘আমরা স্পেশাল কারেন্সি তৈরির দিকে এগোচ্ছি৷ এনার্জি তৈরির ক্ষেত্রে সফল পার্টনারশিপ রয়েছে আমাদের। ভারতে বৃহত্তম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কুডানকুলাম তৈরিতে আমরা সহযোগিতা করছি৷ নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছি আমরা। রাশিয়া বা বেলারুস থেকে ভারত মহাসাগরে৷ রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটি আজ থেকে ভারতে নিজেদের ব্রডকাস্ট শুরু করছে৷ আগামিবছর ভারত ব্রিকসে চেয়ার গ্রহণ করবে। আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে ভারতকে৷’’
এদিন মোদি-পুতিন দ্বৈপাক্ষিক বৈঠকে উঠে আসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গও৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, ভারত শান্তির পক্ষে৷ আর এই শান্তির পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে যদি প্রয়োজন হয় ভারত রাশিয়ার পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
