এ যেন খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ৷ মুখের সামনে থেকে সরকার গড়ার সুযোগ চলে যেতেই অবশেষে শোনা গেল রাহুল গান্ধির মন্তব্য ৷ শেষ ল্যাপে বাজিমাত বিজেপির ৷ দু’দিনের দড়ি টানাটানি শেষে রাজ্যপাল বাজুভাই ভাল্লার ডাকে বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পার। ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিধানসভায় বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপির ডাক পাওয়ায় প্রবল ক্ষুব্ধ কংগ্রেস-জেডিএস ৷
advertisement
সুপ্রিম কোর্টও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করায় কাঁটাহীন পথেই হল ইয়েদুরাপ্পার শপথ ৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকা সত্ত্বেও বিজেপি এভাবে সরকার গড়ার ডাক পাওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনায় ট্যুইটারে রাহুলের কটাক্ষ- ‘সংবিধানকে তামাশায় পরিণত করেছে বিজেপি ৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকলেও যেনতেন প্রকারে সরকার গড়তে মরিয়া গেরুয়া শিবির ৷ এদিন সকালে বিজেপির জয়ে পরাজিত সংবিধান ৷ শোকে মুর্হ্যমান গোটা দেশ ৷’
ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের বিরুদ্ধে কর্ণাটকে বিধানসভা চত্বরে গান্ধিমূর্তির নীচে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে কংগ্রেস ও জেডিএস ৷ গুলাম নবি আজাদ, অশোক গেহলোট, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সহ কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা ৷ রয়েছেন নির্দল বিধায়করাও ৷ ক্ষুব্ধ সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘মামলাটি এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ৷ ১০৪ বিধায়ক নিয়ে কিভাবে সরকার গড়ছে বিজেপি? সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক দূর ৷ ইয়েদুরাপ্পার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হলে মোট ১১২জন বিধায়ক দরকার ৷’