গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধরনায় প্রথমেই জিরো আওয়ার পালন করা হয়। প্রথম বলতে দেওয়া হয় কংগ্রেসের ছায়া ভার্মা। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলতে উঠে সাসপেন্ডেড সাংসদদের সম্পর্কে বলতে চান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাধা দেন স্পিকার। এরপরেই সভায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। প্রতীকি সংসদে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। গান্ধিমূর্তির পাদদেশে স্লোগান দেওয়া হয় মোদি সরকার কি তানাশাহি নেহি চলেগি, নেহি চলেগি। অন্যান্য সাংসদরাও দোলা সেনের গলায় গলা মেলান।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় বহিরাগত? বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের! পাল্টা ফিরহাদ
এদিকে, গতকালের মতো আজও সকাল থেকে লখিমপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দেন একের পর বিরোধী সাংসদরা। সংসদ শুরু হতেই প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধী শিবির। তুমুল বিক্ষোভ চলায় সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। প্রথমে বেলা ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। পরে ২টোর সময় সভা শুরু হতেই ফের হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী শিবির। ফলে দিনের মতো লোকসভাও মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা।
গত বুধবার সামনে আসে লখিমপুর নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, লখিমপুরের ঘটনা হত্যা বা ষড়যন্ত্র। এরপরেই হাতে বড় অস্ত্র পেয়ে যায় বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়নোর কৌশল নেয় বিরোধী শিবির।