জানা গিয়েছে, শনিবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য ঘুরপথে রানওয়েতে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিমানটিকে। রানওয়েতে নামার সময় বিমানটির লেজের কিছুটা অংশ মাটিতে ঘষটে যায়। যদিও বড় রকমের দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলেই খবর।
এই প্রসঙ্গে এক কর্তা বলেন, ” ১৬ অগাস্ট খারাপ আবহাওয়ার জন্য একটি বিমান খুব নিচু দিয়ে মুম্বই এয়ারপোর্টের রানওয়েতে নামাতে হয়। সেই সময়েই বিমানটির লেজের কিছুটা অংশ মাটিতে ঘষটে যায়। যদিও বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটে নি।”
advertisement
বিমান কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে বিমানটিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তী উড়ানের আগে বিমানের কোনও ত্রুটি বা যন্ত্রাংশ বদলের প্রয়োজন হলে তাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে শনিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিমান পরিষেবা। প্রায় ৩৫০টি বিমান দেরিতে চলেছে, ঘুরিয়ে দেওয়া দু’টি বিমানের গতিপথ। এছাড়াও, প্রায় ১ ডজনের উপর বিমানকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ঘুর পথে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মোট ১৫টি বিমানকে ঘুরপথে নামতে বলা হয়, অন্যদিকে দু’টি বিমানকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য নাগপুর এবং আহমেদাবাদে নামতে বলা হয়।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাণিজ্য নগরী মুম্বই। সেখানে রাতভর বৃষ্টি চলেছে। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বাণিজ্য নগরীর বহু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এক রাতের বৃষ্টিতে দাদর এবং বান্দ্রা স্টেশনের কাছে ডুবে যায় রেললাইনও। ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ি ধসে মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হন আরও দু’জন। এই পরিস্থিতিতে শনিবারও ভারী বৃষ্টি হয় মুম্বইয়ে। আবহাওয়া দফতর মুম্বই এবং সংলগ্ন রায়গড় জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে।
শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল থেকেই হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টি চলছিল মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভারী বৃষ্টি শুরু হয় রাত ১১টা থেকে। চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুম্বইয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের শহরতলি। কুর্লা, চেম্বুর এবং আন্ধেরির বহু এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। ভিখরোলিতে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ২১ ঘণ্টায় মোট ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সান্তাক্রুজে বৃষ্টি হয়েছে ২৩২ মিলিমিটার। ভিখরোলির বর্ষানগর এলাকায় ধস নামায় ভেঙে পড়ে একটি আবাসনের একাংশ। মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম হন দু’জন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ট্রেনলাইনের পাশাপাশি জল জমেছে মুম্বই বিমানবন্দরেও। তার জেরে আংশিক ব্যাহত হয় বিমান পরিষেবা।