ছেলের মৃত্যুর কথা বাড়িতেই পৌঁছতেই মীরাটের গঙ্গাসাগর কলোনিতে। অভিনবর বাবা সত্যেন্দ্র চৌধুরীর চোখের জল বাঁধ মানছে না। কাঁদতে-কাঁদতেই তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে। তাঁর কথায়, 'আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। কিন্তু আমি সরকারের কাছে করজোড়ে আবেদন করছি, এই মিগ-২১ বিমানটিকে এবার ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। একমাত্র তাহলেই আমার মতো বাবা-মা’কে নিজের সন্তান হারানোর মতো এমন অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না।'
advertisement
এখানেই থেমে থাকেননি শহিদের বাবা। তাঁর সংযোজন, 'এই বিমানগুলিতে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। আর সেই কারণেই যুদ্ধ প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে অনেক বায়ুসেনার মৃত্যু হয়েছে। ভেবে দেখতে হবে এটা নিয়ে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটা। আমাদের দেশের বীর ফাইটার পাইলটদের জীবন জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। আমি তাই সরকারের কাছে সর্বতভাবে আবেদন করছি, বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়া এই বিমানগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হোক।' সত্যেন্দ্র চৌধুরী মিগ ২১-কে 'উড়ন্ত কফিন'ও বলেছেন।
প্রসঙ্গত, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর পাল্টা যেদিন ভারতের আকাশ সীমায় পাকিস্তানি সেনা ঢোকার চেষ্টা করেছিল, সেদিন তাদের ধাওয়া করে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন ভারতের বীর যোদ্ধা অভিনন্দন বর্তমান। মিগ বাইসন নিয়েই সেদিন তিনি এগিয়ে যান মাঝ আকাশে। শুক্রবারও সেই একই ধরনের বিমান ভেঙে পড়ে।
জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের খুর্দ গ্রামে এই মিগ ২১ ভেঙে পড়ে। পঞ্জাবের মোগার ভগপুরানাক লঙ্গিয়ানা খুর্দ গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পরে খোঁজ মেলে বিমানের পাইলট অভিনব চৌধুরীর। প্রথমে আহত থাকলেও পরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অভিনবের বাবা।