এ বার আন্দোলনে রাশ টানতে শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে রবিবার অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত সিঙ্ঘু-গাজিপুর-টিকরি সীমান্ত-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, "সাধারণ মানুষের স্বার্থে এবং তাঁদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮৮৫ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন (Indian Telegraph Act, 1885) অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করা হচ্ছে।"
advertisement
এ দিকে, কেন্দ্রের ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন কৃষক নেতারা। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাতি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, গাজিপুর সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার যদি মনে করে এভাবে আন্দোলনকে দমানো যাবে, তারা ভুল করছে। সরকার যত কৃষকদের মুখবন্ধ করার চেষ্টা করবে, আন্দোলন আরও গতি পাবে।"
কৃষকদের অপর একটি সংগঠন ক্রান্তিকারি কিষান সংগঠনের নেতা দর্শন পালও সুর ছড়িয়েছেন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায়। ট্যুইটে দর্শন পাল বলেন, "যত দ্রুত সম্ভব যে পাঁচ জায়গায় কৃষকরা অবস্থান করছেন সেখানকার ইনারনেট পরিষেবা চালু করে দেওয়া হোক। না হলে আন্দোলন আরও ব্যাপক হবে দেশের বিরুদ্ধে।"
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে অশান্তি ছাড়ানোর পরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, তাই বৃহস্পতিবার প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছিল শোনিপত, ঝাজ্জর পালয়াল জেলায়। সেই জেলাগুলিতে আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পরিষেবা। এ ছাড়াও দিল্লির সীমান্তবর্তী আম্বালা, যমুনানগর, কুরুক্ষেত্র, কার্নাল, কৈথাল, পানিপথ, হিসার, রোহতক, ভিওয়ানি, চক্র দাদরি, ফতেয়াবাদ, রিওয়ারি এবং সিরসা জেলাতেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা।