advertisement
উদয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমার প্রস্তাব হল, ক্ষমা ভিক্ষার আবেদনের ক্ষেত্রে সংবিধানের ধারায় কিছু সংশোধন করা উচিত৷ আমার মতে, শিশু ধর্ষণে দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডে ক্ষমাপ্রার্থনার সুযোগই দেওয়া উচিত নয়৷ ধর্ষকদের ক্ষমা ভিক্ষার সুযোগই থাকা উচিত নয়৷ এই ধরনের ঘটনা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দেয়৷ আমি আমার মত শেয়ার করলাম, কিন্তু সংবিধান সংশোধনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সংসদে৷'
গত অগাস্টে POCSO আইনে সংশোধনী আনা হয়৷ তাতে শিশু ধর্ষণে সাজা মৃত্যুদণ্ড৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত্যুদণ্ড কোনও ভাবেই অপরাধ কমাতে পারে না৷ শুধু পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগের সংখ্যা খানিক কমাতে পারে৷ কারণ, ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির কাছে অপরাধী বা অভিযুক্ত পরিচিত৷
একটি সরকারি ডেটা বলছে, দেশের বেশির ভাগ রাষ্ট্রপতিই ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন৷ ১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৭৭টি প্রাণভিক্ষার আর্জির মধ্যে ৬৯টি ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন৷
ইতিমধ্যে নির্ভয়ার গণধর্ষণ ও খুনে দোষীদেরও প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জানাল কেন্দ্র৷
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টেয় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ৪ অভিযুক্তের৷ সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল৷ সেই সময়ই পালাতে চেষ্টা করে৷ সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভি সি সজ্জানারের কথায়, 'ওদের কে আমরা জেরা করছিলাম৷ কী ভাবে ঘটনাটি ঘটায় ওরা৷ হঠাত্ ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়৷ তারপর পালাতে শুরু করে৷ আমরা ওদের আত্মসমর্পণ করতে বলি৷ ওরা শোনেনি৷ কোনও উপায় না দেখে আমরা গুলি চালাই৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের৷'