জানা যায়, দুষ্কৃতীদের দমাতে হাওয়ায় গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধে ৬.৪৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। আফতাবকে তড়িঘড়ি পুলিশ ভ্যানে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তদের আটক করে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা গুড়গাওঁ থেকে এসেছিল। একজন অভিযুক্তের নাম নিগম গুরজর! অভিযুক্তরা সংখ্যায় ছিল প্রায় ১৫ জন। অনুমান, তাদের লক্ষ ছিল আফতাবকে খুন করা।
advertisement
যত দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুনের তদন্তে। দিল্লি পুলিশ অবশেষে সেই মহিলার পরিচয় জানতে পেরেছে, যিনি শ্রদ্ধার খুনের পর আফতাব পুনাওয়ালার মেহরোলির ফ্ল্যাটে আসতেন। পুলিশের দাবি, সেই সময় শ্রদ্ধার শরীরের ৩৫ টুকরো আফতাব বাড়ির ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ মনস্তাত্ত্বিক। 'বাম্বল' নামের এক ডেটিং অ্যাপে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। ওই মহিলাকেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে পুলিশ আফতাবকে শনিবার সন্ধেয় দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে আপাতত জেল হেফাজতে ১৩ দিনের জন্য পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত। প্রেমিকাকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য পাঁচটি ছুরি ব্যবহার করেছিল আফতাব৷ হদিশ মিলল সব ক'টির৷ তবে একটি করাত এখনও মিলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাঁচটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে তার প্রতিটি ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা৷ সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।