পুলিশ জানিয়েছে প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরোতে খণ্ডিত করে প্রায় ৬ দিন সেগুলি ৩০০ লিটারের ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব৷ তার পর বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় অঞ্চলের জঙ্গুলে জায়গায় সেগুলি ফেলে দেয়৷ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ আফতাবকে নিয়ে দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরের বিভিন্ন অংশে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করে৷ অভিযোগ, এই অংশেই প্রেমিকার খণ্ডিত দেহাংশ ফেলে দিয়েছিল সে৷ রোজ রাত দুটো নাগাদ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহের খণ্ড নিয়ে বার হত সে৷ নির্জন অংশে ফেলবে বলে৷ ফিরত ঘণ্টাদুয়েক পর৷ এভাবে ২০ দিন ধরে ৩৫ টুকরো দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে সে৷
advertisement
আরও পড়ুন : রক্তস্রোত মোছার জন্য গুগল-সন্ধান, প্রেমিকার দেহ খণ্ডিত করার জন্য অ্যানাটমির তথ্য, আফতাবের নৃশংসতা ভয়াবহ
রোমহর্ষক এই ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশিত হয়ে পড়ছে নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা৷ আফতাবের পৈশাচিক আচরণের পাশাপাশি পরিশীলিত ভঙ্গিও অবাক করেছে তদন্তকারীদের৷ পুবিশি জেরায় সে ইংরেজিতে উত্তর দিয়েছে৷ ইংরেজিতেই জানায় যে সে খুন করেছে প্রেমিকাকে৷ তবে সে হিন্দিও জানে৷ এখন তদন্তে পুলিশের সন্দেহ প্রতিবেশীদের সন্দেহ এড়াতে গভীর রাতে পাম্প চালাত আফতাব৷ তার পর সাফ করত রক্তের দাগ৷ এমনিতেও পাড়ার কারওর সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না আফতাবের৷ সন্ধ্যায় সাধারণত বাড়ি ফিরত৷ বেশির ভাগ দিনই খাবার অর্ডার করত অনলাইনে৷
আরও পড়ুন : দিল্লির নৃশংস খুনি আফতাব ট্রেইনড শেফ, কাজেই ছুরি দিয়ে প্রেমিকার হাড়-মাংস কেটেছিল সহজেই
পুলিশ জানতে পেরেছে যে দিন সকালে প্রেমিকাক আফতাব খুন করে, সেদিন দোকান থেকে একটি রেফ্রিজারেটর কিনে আনে৷ তার জন্য ক্রেডিট কার্ডে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা পেমেন্টও করে৷ এর পর কিনে আনে ছুরি এবং বড় গারবেজ ব্যাগ৷ দোকানি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি আফতাবের হাতে একটি ক্ষত লক্ষ করেছিলেন৷ পরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সেখানে স্টিচও করায় আফতাব৷ সেই চিকিৎসক আফতাবকে চরম উদ্ধত যুবক বলেই জানিয়েছেন৷ তাঁর মধ্যে অনুশোচনার কোনও লক্ষণ ছিল না৷ চিকিৎসককে সে বলেছিল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ভাল বেতনের জন্য সে মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল৷