TRENDING:

সন্দেহ এড়িয়ে রক্তের ধারা মোছার জন্যই কি গভীর রাতে পাম্প চালাত আফতাব, সন্দেহ প্রতিবেশীদের

Last Updated:

Mehrauli Murder: তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, নিজের অপরাধ গোপন করতেই কি বেখাপ্পা সময়ে পাম্প চালাত আফতাব?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মেহরৌলি : রাত বিরেতে সময়ে অসময়ে চলতে শুরু করত জলের পাম্প৷ জানিয়েছেন দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলির প্রতিবেশীরা৷ এই এলাকাতেই ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে প্রেমিকাকে খুন করেছে ২৮ বছর বয়সি আফতাব পুনাওয়ালা৷ অভিযোগ, বার বার বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেন আফতাবের প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকার৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে মাঝে মাঝেই ঝামেলা হত৷ পুলিশের কাছে আফতাব স্বীকার করেছে গত ১৮ মে এরকমই ঝগড়ার সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়৷ শ্বাসরোধ করে সে খুন করে ২৬ বছর বয়সি শ্রদ্ধাকে৷ তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, নিজের অপরাধ গোপন করতেই কি বেখাপ্পা সময়ে পাম্প চালাত আফতাব?
তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, নিজের অপরাধ গোপন করতেই কি বেখাপ্পা সময়ে পাম্প চালাত আফতাব?
তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, নিজের অপরাধ গোপন করতেই কি বেখাপ্পা সময়ে পাম্প চালাত আফতাব?
advertisement

পুলিশ জানিয়েছে প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরোতে খণ্ডিত করে প্রায় ৬ দিন সেগুলি ৩০০ লিটারের ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব৷ তার পর বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় অঞ্চলের জঙ্গুলে জায়গায় সেগুলি ফেলে দেয়৷ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ আফতাবকে নিয়ে দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরের বিভিন্ন অংশে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করে৷ অভিযোগ, এই অংশেই প্রেমিকার খণ্ডিত দেহাংশ ফেলে দিয়েছিল সে৷ রোজ রাত দুটো নাগাদ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহের খণ্ড নিয়ে বার হত সে৷ নির্জন অংশে ফেলবে বলে৷ ফিরত ঘণ্টাদুয়েক পর৷ এভাবে ২০ দিন ধরে ৩৫ টুকরো দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে সে৷

advertisement

আরও পড়ুন :  রক্তস্রোত মোছার জন্য গুগল-সন্ধান, প্রেমিকার দেহ খণ্ডিত করার জন্য অ্যানাটমির তথ্য, আফতাবের নৃশংসতা ভয়াবহ

রোমহর্ষক এই ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশিত হয়ে পড়ছে নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা৷ আফতাবের পৈশাচিক আচরণের পাশাপাশি পরিশীলিত ভঙ্গিও অবাক করেছে তদন্তকারীদের৷ পুবিশি জেরায় সে ইংরেজিতে উত্তর দিয়েছে৷ ইংরেজিতেই জানায় যে সে খুন করেছে প্রেমিকাকে৷ তবে সে হিন্দিও জানে৷ এখন তদন্তে পুলিশের সন্দেহ প্রতিবেশীদের সন্দেহ এড়াতে গভীর রাতে পাম্প চালাত আফতাব৷ তার পর সাফ করত রক্তের দাগ৷ এমনিতেও পাড়ার কারওর সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না আফতাবের৷ সন্ধ্যায় সাধারণত বাড়ি ফিরত৷ বেশির ভাগ দিনই খাবার অর্ডার করত অনলাইনে৷

advertisement

আরও পড়ুন :  দিল্লির নৃশংস খুনি আফতাব ট্রেইনড শেফ, কাজেই ছুরি দিয়ে প্রেমিকার হাড়-মাংস কেটেছিল সহজেই

পুলিশ জানতে পেরেছে যে দিন সকালে প্রেমিকাক আফতাব খুন করে, সেদিন দোকান থেকে একটি রেফ্রিজারেটর কিনে আনে৷ তার জন্য ক্রেডিট কার্ডে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা পেমেন্টও করে৷ এর পর কিনে আনে ছুরি এবং বড় গারবেজ ব্যাগ৷ দোকানি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি আফতাবের হাতে একটি ক্ষত লক্ষ করেছিলেন৷ পরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সেখানে স্টিচও করায় আফতাব৷ সেই চিকিৎসক আফতাবকে চরম উদ্ধত যুবক বলেই জানিয়েছেন৷ তাঁর মধ্যে অনুশোচনার কোনও লক্ষণ ছিল না৷ চিকিৎসককে সে বলেছিল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ভাল বেতনের জন্য সে মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
সন্দেহ এড়িয়ে রক্তের ধারা মোছার জন্যই কি গভীর রাতে পাম্প চালাত আফতাব, সন্দেহ প্রতিবেশীদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল