মেঘালয়ে খুনের ঘটনায় নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান তথা শিলং সিটি পুলিশ সুপার হারর্বাট পাইনিয়েদ জানিয়েছেন, সোনমের ভাড়া করা দুই ভাড়াটে খুনি আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মি আদালতে কোনও দোষ স্বীকার করেনি৷ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তারা সমানে চুপ থেকেছে৷
advertisement
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তদের ৫ জনের মধ্যে ২ জনকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠিয়েছিলাম৷ সেখানে ওরা কোনও বিবৃতি দিতে চায়নি৷ আমাদের কাছে ওদের বিরুদ্ধে যদিও একাধিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে৷ আমরা ফরেন্সিক টেস্টের রিপোর্টের জন্যেও অপেক্ষা করছি৷’’
মেঘালয় পুলিশ আগেই দাবি করেছিল, ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে প্রত্যেকেই তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছেন৷ কিন্তু, পাশাপাশি এটাও ঠিক যে পুলিশের কাছে করা কোনও স্বীকারোক্তি আদালতে গ্রাহ্য হয় না৷ সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে শিলং পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘স্বীকারোক্তি না করা তাদের অধিকার৷ কিন্তু, প্রমাণও গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনও সমস্যা নেই৷ এই মামলায় আমাদের কাছে প্রমাণ আছে৷’’
আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা দিঘায়, দায়িত্বে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা
পুলিশের দাবি, ১১ জুন সোনম তার স্বামীকে খুন করানোর কথা স্বীকার করেছিল৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই আনন্দ, আকাশ এবং বিশালকে প্রথম কিস্তির টাকা সোনমের তুতো ভাই জিতেন্দ্র রঘুবংশী দিয়েছিল৷
অভিযোগ, আনন্দ এবং আকাশ ছাড়াও বিশাল সিং চৌহান সোনমকে তাঁর নববিবাহিত স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করতে সাহায্য করেছিল৷ মেঘালয় পুলিশ দাবি করেছিল, ধৃতেরা প্রত্যেকেই জানিয়েছিল, সোনমই তাঁদের খুন করার বদলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ প্রথম কিস্তির টাকাও দেওয়া হয়েছিল তাদের৷ কিন্তু, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেসব কোনও কথাই বলেনি আকাশ ও আনন্দ৷ ফলে অপরাধীদের স্বীকারোক্তি না থাকায় সেই অপরাধ তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে পুলিশকে৷ অপরাধ প্রমাণ করতে না পারলে, ছাড়া পেয়ে যেতে পারেন অপরাধীরা৷ এমনকি, সোনমও৷