আরও পড়ুন: ৩ মাস ধরে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করলেন প্রসূতি, তারপর পেট থেকে যা বের হল…চমকে উঠবেন!
কনের পরিবার ছত্তিশগড়ের বলরামপুরের একজন প্রকৌশলীর সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করেছিল। একজন মধ্যস্থতাকারী দাবি করেছিলেন যে বরপক্ষ কনৌজে ভাড়ার বাড়িতে থাকেন এবং বর একজন সরকারি প্রকৌশলী, যাঁর ছয়টি প্লট ও বিশ বিঘা জমি রয়েছে।
advertisement
বিয়ের শোভাযাত্রা নির্ধারিত দিনে এক অতিথিশালায় পৌঁছায়। রাতে বরযাত্রা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্বারাচার অনুষ্ঠান হয়। গভীর রাতে জয়মালাও সম্পন্ন হয়। তবে রাত প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে কনে জানতে পারেন যে বর সরকারি চাকরিতে নয়, বরং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এই খবর পাওয়ার পর তিনি বিয়ের অন্যান্য রীতি পালন করতে অস্বীকৃতি জানান।
আরও পড়ুন: নেশা ছাড়াতে তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন দুই ভাই, ‘বিষ’ কেড়ে নিল তাদের প্রাণ!
কেন তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কনে জানান, তিনি এমন কাউকে বিয়ে করবেন না, যিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। তাঁর এই ঘোষণায় দুই পক্ষই হতভম্ব হয়ে যান। উভয় পক্ষই কনেকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। বর এ বিষয়ে সমাধানের জন্য তাঁর বেতনের পে-স্লিপ টেলিফোনে চেয়ে পাঠান এবং তা কনের পরিবারকে দেখান। সেখানে মাসিক বেতন ১,২০,০০০ টাকা উল্লেখ ছিল।
তবু কনে তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ বিয়ের খরচ ভাগাভাগি করে মিটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর্থিক সমঝোতা হওয়ার পর বরপক্ষ কনে ছাড়াই ফিরে যান। এই ঘটনা নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।