আরও পড়ুন- শেষ হচ্ছে না মহামারী! ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই আসছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট!
আদালতে সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন রীনা কিন্নর (Rina Kinnar)। রীনা একজন রূপান্তরকামী। রীনা ও তাঁর সঙ্গী সন্তান দত্তক নিতে গিয়ে এই বিষয়ক বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হন স্বাভাবিকভাবেই। অগত্যা আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা, দায়ের করেন পিটিশন। ৯ ফেব্রুয়ারি রীনা কিন্নর এবং তাঁর সঙ্গীর দায়ের করা ওই আবেদনের শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণ করে আদালত। পিটিশনে বলা হয়েছিল, রীনার জন্ম ১৯৮৩ সালে। রীনা এবং তাঁর সঙ্গে ২০০০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিয়েও করেন। বারাণসীর আরদালি বাজারের মহাবীর মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন রীনা কিন্নর ও তাঁর সঙ্গী।
advertisement
আরও পড়ুন- এশিয়ার বৃহত্তম নারী পরিচালিত বাজার, সেই মণিপুরেই কেন রাজনীতি বিমুখ মহিলারা?
বিয়ের পর থেকেই আবেদনকারীরা একটি সন্তান দত্তক (Child Adaptation) নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে আইন। সন্তান দত্তক নিতে হলে বিয়ের আইনি শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। বলাবাহুল্য, আইনি বিবাহের কোনও শংসাপত্রই ছিল না রীনাদের।
জাস্টিস ডঃ কৌশল জয়েন্দ্র ঠাকের এবং জাস্টিস বিবেক ভার্মার বেঞ্চ জানায়, পিটিশনার রীনা একজন রূপান্তরকামী এবং তাঁর সঙ্গী একজন পুরুষ। তাঁরা সন্তান দত্তক (Child Adaptation) নিতে চাইলে তাঁদের জানানো হয় হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে বিয়ের একটি শংসাপত্র প্রয়োজন। এর পরেই ২০২১ সালে বারাণসী জেলার হিন্দু ম্যারেজ সাব রেজিস্ট্রারের কাছে অনলাইনে একটি আবেদন জমা দেন তাঁরা। রীনা একজন রূপান্তরকামী হওয়ায় তাঁদের বিয়েটিকে আইনিভাবে নথিভুক্ত করা যায়নি। সেই কারণেই সন্তানের দত্তক নেওয়ার সময় বিয়ের শংসাপত্রের কথা উল্লেখ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।