চিন, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশে নতুন করে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করা হয়েছে। গত বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কোভিড নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। আজ, শুক্রবার, করোনার সমস্যা সামনে রেখে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
advertisement
আরও পড়ুন: শোভনদেবের ফোন ধরবেন না শুভেন্দু, দাবি আদায়ে দিল্লিতে একাই লড়বে তৃণমূল!
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাজ্যকে একাধিক গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছ কেন্দ্র। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলিতে প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি রাখতেও বলা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যকে সেখানকার বাসিন্দাদের গতিবিধি এবং সংক্রমণের হারের উপরে দৈনন্দিন নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এ ছাড়াও, করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টের মোকাবিলায় পরীক্ষা ও টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই মতো টিকাকরণ এবং পরীক্ষার হার বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া দিয়েছেন মাণ্ডব্য।
কেন্দ্র জানিয়েছে, আগের মতোই এ ক্ষেত্রেও কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। চিন-সহ বাকি যে দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, সেখান থেকে এদেশে আসা যাত্রীদের অবশ্যই আরটিসিপিআর টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে। তবে, ৭২ ঘণ্টা আগের রিপোর্ট এক্ষেত্রে মান্য করা হবে না। নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানোর পরেই মিলবে এদেশে ঢোকার ছাড়পত্র।
আরও পড়ুন: অন্যের নিয়োগপত্র জালিয়াতি করে চাকরি শিক্ষকের! হাইকোর্ট বলল, 'স্কুলের পড়ুয়াদের অবস্থা শুধু ভাবছি,'
সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, চিন থেকে ভারতে আসার সরাসরি বিমান পরিষেবা আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতে বিমান পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে।
একটি সরকারি আধকারিক এদিন জানান, চিন-সহ বেশ কিছু দেশে সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ফের 'এয়ার সুবিধা ফর্ম' নিয়ে এসেছে। যে দেশগুলিতে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে সেই দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে ফিল আপ করতে হবে এই ফর্ম। এই ফর্মে ৭২ ঘণ্টা আগের আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট এবং করোনা টিকা সম্পর্কিত তথ্য জানাতে হবে প্রত্যেক যাত্রীকে। কোনও যাত্রীর যদি রিপোর্ট পজিটিভ হয়, তাহলে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হবে। এর পাশাপাশি, ভারতের বিমানবন্দরগুলিতেও থাকছে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা।
