শনিবার সকালে দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং দলের কর্মীরা মনমোহন সিং-কে শেষ শ্রদ্ধা জানান৷ এর পর সকাল ১০.১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির নিগমবোধ ঘাটের উদ্দেশ্যে মনমোহনের শেষযাত্রা শুরু হয়৷ সেনাবাহিনীর শববাহী শকটে করে নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ৷ সেখানেই বেলা ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য শুরু হওয়ার কথা৷
advertisement
আরও পড়ুন: মনমোহনের শেষকৃত্য ঘিরে হঠাৎ বিতর্ক! ইচ্ছাকৃত অপমানের অভিযোগ কংগ্রেসের, পাল্টা বিঁধল বিজেপি
শেষকৃত্যের আগে নিগমবোধ ঘাটেই মনমোহন সিং-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার তিন প্রধান সহ কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা৷
গতকাল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সনিয়া গান্ধি এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও মনমোনহন সিংয়ের শেষকৃত্যের পর তাঁর স্মৃতি সৌধের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হচ্ছে না৷ নিগমবোধ ঘাটে মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানানোর পরই তা নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস৷ জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে মনমোহন সিং-কে অপমান করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷
এই বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, মনমোহন সিংয়ের স্মৃতি সৌধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ করা হবে৷