৫ দিন সিবিআই হেফাজতের পর শনিবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, আবগারি দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মণীশ সিসোদিয়া। তাই আরও তিন দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন মেনে সিসোদিয়াকে আরও দু' দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: পেগাসাস ইস্যুতে ফের সরব রাহুল, পাল্টা একের পর এক তোপ বিজেপির
advertisement
এ দিকে সিসোদিয়া বলেছেন- প্রত্যেকদিন গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা একই প্রশ্ন করে তাঁকে মানসিক নির্যাতন করছে সিবিআই। উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়া জামিনের আবেদন করেছিলেন দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়। তার আগে কঠোর নিরাপত্তার আবরণে মুরে ফেলা হয় গোটা আদালত চত্বর।
সিসোদিয়ার গ্রেফতারির সময় দিল্লি জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন আপ সমর্থকরা। সেই আশঙ্কাতেই দিল্লি জুড়ে নিরাপত্তা বলয় জোরদার দিল্লি পুলিশ। সিসোদিয়ার আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জেল থেকেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন সিসোদিয়া। এ দিন বিচারক সিসোদিয়ার আইনজীবীকে বলেন, সিবিআই বলেছে যে তাদের কিছু নথি খুঁজে বের করতে হবে যা অনুপস্থিত ।
এ বিষয়ে সিসোদিয়ার আইনজীবী বলেন, তাঁকে হেফাজতে রেখে যেসব নথি পাওয়া যায়নি? তা কি এর পরেও পাওয়া যাবে। এটা হেফাজতে নেওয়ার ভিত্তি হতে পারে না। সিসোদিয়ার আইনজীবী আরও বলেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ব্যর্থতা হেফাজতের কারণ হতে পারে না।
আরও পড়ুন: মোদির দুই প্রকল্পের প্রশংসায় রাহুল গান্ধি! কেমব্রিজে চমকে দিলেন কংগ্রেস নেতা
উল্লেখ্য, সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যার জেরে এই ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইকে দিয়ে দেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা।সিবিআই তদন্তে নেমে দুর্নীতি কাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে।
আগেই জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া। যদিও আদালতের পক্ষ থেকে তাঁকে হাইকোর্টে আপিল করতে বলা হয়েছে। তার পরেই সেখান থেকে নিজের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন মণীশ। সিবিআইয়ের হেফাজতের আবেদন শেষ হওয়ার আগেই শুক্রবার দিল্লির রাউস কোর্টে নিজের জামিনের আবেদন জানান তিনি। শনিবার তাঁর আবেদনের শুনানির ডাক পড়ে।
তা ছাড়া শনিবারই সিবিআই-এর হেফাজতেরও শেষ দিন ছিল। মণীশ প্রথম নয়, এর আগে আপ নেতা সতেন্দ্র জৈনকেও জেলে পাঠানো হয়েছিল। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আর্থিক দুর্নীতির। দু জনেই আপ প্রধান কেজরিওয়ালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সূত্রের খবর, ইডিও সিসোদিয়াকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি করতে পারে।