নয়াদিল্লি: পেগাসাস ইস্যুতে আবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধি। তাঁর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে করা মন্তব্য নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। কার্যত বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। কীভাবে বিরোধীদের চাপে রাখা হয়, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া রাহুল গান্ধির বক্তব্যে।
এমনকি চিনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন কংগ্রেস নেতা। আর এহেন মন্তব্যের পরেই রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি কংগ্রেসের সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন করেছে বিজেপি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে রাহুল গান্ধি বলেছেন, তাঁর ফোনে পেগাসাসের মতো সফটওয়্যারের ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি এই বিষয়ে তাঁকে তার আধিকারিকরাও সাবধান করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে রাহুল বলেন, 'দেশের গণতন্ত্র বিপদের মুখে রয়েছে। শুধু আমারই নয়, একাধিক নেতার ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়।' শুধু তাই নয়, ফোন রেকর্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। আর এর পরেই রাজনৈতিক দুই প্রতিপক্ষের শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, বিরোধীরা বিভিন্ন ভাবে চাপে থাকে ভারতে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করা হয়।
তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। রাহুলের বক্তব্যে ভারত জোড়ো যাত্রার বিষয়টিও উঠে আসে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে তাঁর কী কী অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে কথাও তিনি বলেন ছাত্রদের। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাহুল গান্ধির এই বক্তব্যের পরেই আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, "ভারতে যখন জি ২০ বৈঠক চলছে তখন রাহুল গান্ধীর আচরণ সর্বজনবিদিত এবং রাহুল গান্ধির এই আচরণ প্রথমবারের মতো নয়। আজ সারা বিশ্ব নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করছে। বিশ্বের ২০টি শক্তিশালী দেশ ভারতের প্রশংসা করছে। সারা বিশ্ব ভারতকে একটি উজ্জ্বল স্থান হিসাবে বিবেচনা করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে হস্তক্ষেপের জন্য বিশ্বের অনেক দেশই নরেন্দ্র মোদির দিকে তাকিয়ে আছে।"
আরও পড়ুন, বিদেশে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা! দেশে রাহুলের বিরুদ্ধে 'ব্যবস্থা'র তোড়জোড়
আরও পড়ুন, মোদির দুই প্রকল্পের প্রশংসায় রাহুল গান্ধি! কেমব্রিজে চমকে দিলেন কংগ্রেস নেতা
পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। তাঁর মন্তব্য, "দেশের রাজনীতির প্রধান দলগুলোর নেতারা চারবারের নির্বাচিত সাংসদ। এটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়, যেখানে মহাত্মা গান্ধির কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রার সময় যা শিখেছিলেন, তা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর সংযোজন, সরকার কি কাশ্মীরে সহিংসতা অস্বীকার করতে পারে? তিনি বলেন, পুলওয়ামার ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী বৈঠকে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অথচ কংগ্রেস নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপিকে বিদ্বেষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
রাজীব চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Rahul Gandhi