এদিকে, মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সেখানেই এই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি কোম্পানির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০।
এরই মধ্যে মণিপুরের হিংসায় ৩টি আলাদা ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। চলতি মাসের একেবারে প্রথম দিকে এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল। তারপর থেকেই নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে মণিপুরে। এর মধ্যে প্রথম মামলাটি ৮ নভেম্বর জিরিবাম থানায় দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় সশস্ত্র জঙ্গিদের হাতে এক মহিলার নৃশংস ভাবে হত্যা হয়েছিল জিরিবামে। এর পরে বোরোবেকরা থানায় ১১ নভেম্বর দায়ের হয় একটি মামলা।
advertisement
জিরিবামে সিআরপিএফ ক্যাম্পের উপর সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় ওই মামলা দায়ের হয়। ওই দিনই ওই একই থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়। বোরোবেকরা এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষের হত্যার অভিযোগে ওই মামলা দায়ের হয়েছিল।
এদিকে, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আবহে এবার বিজেপির এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল কোনরাড সাংমার ন্যাশানল পিপলস পার্টি। উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে গত কয়েকদিনেই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ার পর বীরেন সিং-য়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর থেকে কোনরাড সাংমার দল এনপিপি এবার তাদের সমর্থন তুলে নিল।
কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মণিপুর সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যটির বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজ্যের অস্থিরতা দমন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাঁর মণিপুর প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করেছেন। মেইটিস এবং কুকি-জো গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি গত কয়েক মাস ধরে অশান্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই এলাকায়, যা সাম্প্রতিককালে এই রাজ্যের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছে।