এ দিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেণ সিং জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মণিপুরে এই হিংসার পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে কুকি নামে একটি আদিবাসী সম্প্রদায়৷ আর সেই সম্প্রদায়ের এই হিংসাত্মক প্রতিবাদকে কাবু করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মণিপুরের সরকার৷ এই সম্প্রদায়ের মানুষদের ‘জঙ্গী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন, ৪০ জন সশস্ত্র ‘জঙ্গী’ যাঁরা বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল, তাঁদের খতম করেছে প্রশাসন৷
advertisement
নতুন করে মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিবাদীরের সংঘর্ষ চলছে৷ আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে রবিবার কম করে আট ঘণ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলেছে৷ এ ছাড়াও আলাদা করে সরকারের কাছে হিংসাত্মক কাজকর্মের মূল আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাগাল পেতে সরকার লিতানপোকি, সেরৌ, ইয়্যাংগ্যাংপোকি ও ত্রবুংয়ে তল্লাশি চালিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কুকি সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে খতম করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা পাশাপাশি জাঠ রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁরা এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত৷’
মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, কুকি আদিবাসীরা প্রতিবাদের নামে অত্যন্ত আধুনিক ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছেন৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অত্যন্ত ভারী অস্ত্র যেমন এম১৬ রাইফেল, একে ৪৭, স্নাইপারের মতো অস্ত্র ব্যবহার করছেন এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা৷ এগুলিকে জঙ্গী কার্যকলাপ বলেই তিনি চিহ্নিত করেছেন৷