“আমাদের গ্রামে পানীয় জলের সরবরাহ নেই, এমনকী পাইপলাইনও নেই৷ তাই আমাদের পরিবারের জন্য জলের ট্যাঙ্কার অপারেটরদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১,০০০ টাকায় পানীয় জল কিনি,” পিটিআইকে বলেন চানুর মা সাইখোম টম্বি (Chanu's mother Saikhom Tombi)৷
আরও পড়ুন- ভোটে আর বড় ইস্যু নয় রামমন্দির! ‘মন্দির-মসজিদ’ থেকে কি দূরে সরছে অযোধ্যার মানুষ?
advertisement
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটিতে গত বছর অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জয়ী ভারোত্তোলককে (Olympics Medallist Mirabai Chanu) অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তারা। প্রায় ১.২-কোটি টাকার জলের প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। “ও কেবল প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে। প্রায় ১৫ শতাংশ নির্মাণের পরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ৮ মার্চ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এবং এখন শেষ হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ‘হর ঘর জল’ তো ভুলেই যান, সারা গ্রামে একটা পাইপলাইনও নেই,” বলেন স্থানীয় যুব ক্লাব ব্রাইট স্টার ইউনিয়নের (বিএসইউ) সভাপতি মায়াংলাম্বাম কেনেডি৷
চানুর পরিবারের মতোই অন্যরাও পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে গড়ে প্রায় ৫০০-৭০০ টাকাত পানীয় জল কেনেন। অন্যান্য কাজের জন্য স্থানীয় পুকুর এবং ঝোরার উপর নির্ভর করেন।
আরও পড়ুন- "মুখ্যমন্ত্রী হবেন একজন রামভক্তই!" বিধানসভা নির্বাচনে জয়ে আশাবাদী যোগী আদিত্যনাথ
প্রায় ৩০০ ভোটার সহ প্রায় ৮৫ টি পরিবার রয়েছে লামলাই বিধানসভা কেন্দ্রের (Lamlai Assembly constituency) এই গ্রামে। বিজেপি, কংগ্রেস, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (আথাওয়ালে), জেডি (ইউ) এবং একজন নির্দল সহ মোট পাঁচজন প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে এই গ্রামে।
পানীয় জলের পাশাপাশি রাস্তার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। “সত্যিই খারাপ অবস্থা রাস্তার, বর্ষাকালে অবস্থা আরও কঠিন হয়ে যায়। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি কিন্তু লাভ হয়নি,” বলেন সাইখোম টম্বি৷ টম্বির সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল, চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে, নংপোক কাকচিং (Nongpok Kakching)-এ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটুকুও না থাকায় গ্রামবাসীদের চিকিত্সার জন্য বহু দূরে যেতে হয় এবং বর্তমান রাস্তার যা অবস্থা তাতে রোগীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়।
বিএসইউ-এর কার্যনির্বাহী সদস্য এম জয়ন্ত জানান, গত বছরের জুলাইয়ে চানু টোকিও থেকে পদক নিয়ে দেশে ফেরার ঠিক আগে রাস্তার গর্তগুলি ভরাট হয়ে গিয়েছিল এবং উচ্ছ্বাস কমে যাওয়ার পরে আর কেউ ফিরেও তাকায়নি।
এখানে নিয়মিত শিক্ষক এবং উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় গ্রামের অনেক শিশুকেই এখন দূরের বেসরকারি স্কুলে পড়তে যেতে হয় বলেও জানান তিনি।
