উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিৎ পাত্র বীরেন সিংয়ের ইস্তফার পরই মণিপুর পৌঁছেছিলেন৷ গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভল্লার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-রই বেশ কয়েকজন বিধায়ক ক্ষুব্ধ ছিলেন৷ এমন কি, কংগ্রেস বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে কয়েকজন বিজেপি বিধায়কও সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন৷ দলীয় বিধায়কদের এই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসার পরই চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং৷ ২০২৩ সাল থেকে জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর৷ প্রাণ গিয়েছে প্রায় ২৫০ মানুষের৷ তার পরেও অবশ্য এতদিন পদ আঁকড়ে ছিলেন বীরেন সিং৷
advertisement
সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে রাজ্য সরকারের যাবতীয় দায়িত্ব চলে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে৷ একই ভাবে রাজ্য বিধানসভার দায়িত্ব সংসদের উপরে ন্যস্ত হয়৷ শুধুমাত্র হাইকোর্টের ক্ষমতা অপরিবর্তিত থাকে৷ রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতিকে এই মর্মে প্রস্তাব দেন যে সাংবিধানিক উপায়ে রাজ্য সরকারের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এবং রাষ্ট্রপতি তাতে সন্তুষ্ট হন, সেক্ষেত্রে কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে৷ সেই পথেই এবার মণিপুরে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন।