রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা কড়া ভাষায় আক্রমণও করে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার সাফাই দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই ওয়াকফ বিলের সঙ্গে লোকসভায় পাশ হয় মণিপুর প্রস্তাবও।
কী এই মণিপুর প্রস্তাব? কেনই বা পাশ হতে হল লোকসভায়? মণিপুরে দীর্ঘ অশান্তি, বিশৃঙ্খলার মাঝে, চাপের মুখে পড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। বিজেপি মণিপুরে বীরেনের বিকল্প না পাওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম, কোনও জায়গায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে, তার দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদন প্রয়োজন হয়। বুধবার মধ্যরাতে সেই অনুমোদন দিল লোকসভা।
advertisement
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, ‘মণিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সময়েও সেখানে প্রধানমন্ত্রী একবারও যাননি।’ ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলেন, ‘সরকার যে মণিপুরকে একেবারেই গুরুত্ব দেয় না, সেটা বোঝা যাচ্ছে, এই মধ্যরাতে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ায়।’ অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সায়নী ঘোষ বলেন, ‘সারা বিশ্ব যখন মণিপুর নিয়ে উত্তাল, যখন মহিলাদের উলঙ্গ করে হাঁটানো হচ্ছে, তখনও প্রধানমন্ত্রীর কোনও তাপ-উত্তাপ দেখা যায়নি।’
আরও পড়ুন: সুপ্রিম-নির্দেশে চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫২ জনের, ব্যতিক্রম শুধু এক জন সোমা দাস! কেন?
এরপরেই বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। দুই জাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। নিছক রাজনীতি করার জন্যই বিরোধীরা মণিপুর প্রসঙ্গ তুলছে।’ অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। অবশেষে বিরোধী ও সরকার পক্ষের বাদানুবাদের পরে রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়।