আরও পড়ুনঃ ঝিঙে দেখলেই নাক সিঁটকান? মেদ তো ঝরায়-ই! বাকি উপকারের ফিরিস্তি শুনলে এখনই বাজেরে ছুটবেন
ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সর্বক্ষেত্রে বিকাশকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। বিশেষ করে রাজ্যকে শিল্পে স্বয়ম্ভর করে তুলতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। রাজ্যের নিজস্ব সম্পদ যেমন – রাবার, চা, বাঁশ, আগর, পর্যটন ক্ষেত্র ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে শিল্প স্থাপনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে গত কিছুদিন আগে মুম্বই সফরে গিয়ে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানির সাথে বৈঠক করেছিলেন প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেসময় আম্বানি রিলায়েন্সের টিম ত্রিপুরায় পাঠানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
advertisement
পরবর্তী সময়ে গুয়াহাটিতে আয়োজিত অ্যাডভান্টেজ আসাম ২.০ কর্মসূচিতেও বিকশিত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সহযোগিতার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই ফলশ্রুতিতে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিলায়েন্স জিও উত্তর পূর্বাঞ্চল জোনের বিজনেস হেডের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির নির্দেশনায় প্রতিনিধি দলটি রাজ্যে সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন।
আরও পড়ুনঃ ঝিঙে দেখলেই নাক সিঁটকান? মেদ তো ঝরায়-ই! বাকি উপকারের ফিরিস্তি শুনলে এখনই বাজেরে ছুটবেন
আলোচনা কালে আইটি ও আইটি-বান্ধব পরিষেবা, ডেটা সেন্টার, প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, সার উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম, বাঁশ থেকে ইথানল উৎপাদন, রাবার কাঠের আসবাব, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনার বিষয়ে রিলায়েন্স প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। বিশেষত আইটি সেক্টরে তাদের ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।
ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রিলায়েন্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে একসাথে কাজ করা ও সহযোগিতার অঙ্গিকার করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। সাক্ষাত কালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।