কারণ এবারই ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের পুরনো বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিককে প্রার্থী করেছিল বিজেপি৷ ধনপুর কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন প্রতিমা৷ তার পর থেকেই রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রবল ভাবে উঠে এসেছে প্রতিমার নামও৷ সেক্ষেত্রে তিনিই হবেন ত্রিপুরার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: পরনে সুতির শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল! ত্রিপুরার 'দিদি' প্রতিমা ভৌমিকই কি বিজেপির 'মমতা'?
advertisement
যদিও বিজেপি-র অন্দরের খবর, এখনও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মানিক সাহাই। আগামী ৮ মার্চ শপথ নেবেন ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, কালকের মধ্যেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও ঘোষণা করে দেবে বিজেপি নেতৃত্ব।
শনিবারই ত্রিপুরায় গিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গেও প্রতিমা ভৌমিককে দেখা গিয়েছে। যদিও দলের একটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, সরাসরি কিছু না বললেও হিমন্ত বিশ্বশর্মাও ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহাই দ্বিতীয় বার সুযোগ পেতে চলেছেন।
বিজেপি-র ওই সূত্রেরই মতে, মানিক সাহার সবথেকে বড় সুবিধা তাঁর স্বচ্ছ এবং ভদ্রলোক ভাবমূর্তি। তাঁর উপর, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে গত এক বছরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। নতুন করে কোনও বড়সড় হিংসার ঘটনাও ঘটেনি ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুন: কাজে লেগেছে মোদি-মানিক ম্যাজিক! ত্রিপুরার ডাবল ইঞ্জিনের 'মুখ' বাছতে পুরনো ফর্মুলাই ভরসা বিজেপির?
আদিবাসী ভোট ফ্যাক্টর এবং বাম-কংগ্রেস জোটের জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন মানিক সাহা। কঠিন লড়াই হলেও নিজের বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই লড়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় শান্তি বজায় থাকবে, ভোট প্রচারে এই আশ্বাস জোর গলায় দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দলের মধ্যে সব শিবিরের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারেন তিনি। এমন কি, নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল। মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর কাছে সবাই পৌঁছতে পারেন। তা সে দলেরই লোক হোন বা বাইরের।
অন্যদিকে প্রতিমা ভৌমিক ত্রিপুরায় শূন্য থেকে বিজেপি-র সংগঠন গড়ে তোলার অন্যতম মূল কারিগর বলা চলে। একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি ত্রিপুরায় দলের জন্য তাঁর লড়াইকে অস্বীকার করা যায় না। ছাপার শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন প্রতিমা। দলের একটি সূত্রের কথায়, প্রতিমা দলিত মুখ এবং একজন মহিলা নেত্রী। এই দুই ফ্যাক্টরই তাঁর পক্ষে যেতে পারে। তবে দলেরই একাংশের মতে, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন মানিক সাহা। তাই শেষ হাসি হয়তো তিনিই হাসবেন।