জানা যায়, গত ৯ আগস্ট অভিযুক্ত মনোহর শুক্লা ২৮ বছরের নয়না মাহাতকে তার নাইগাঁওয়ের বাড়িতে এক বালতি জলে ডুবিয়ে হত্যা করে। পরে অভিযুক্ত মনোহরের স্ত্রী মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে ফেলতে সাহায্য করে। এরপর ওই অভিযুক্ত দম্পতি তাদের ২ বছরের মেয়েকে নিয়ে স্কুটারে করে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গুজরাটের ভালসাদের কাছে একটি ড্রেনের কাছে মৃতদেহটি ফেলে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: করোনার মতো শুরুতেই কেরলে তাণ্ডব শুরু নিপা ভাইরাসের! ইতিমধ্যে মৃত্যু দু’জনের, উদ্বেগ তুঙ্গে
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে মনোহর শুক্লাকে মঙ্গলবার ভোরে ভাসাইয়ের এভারশাইনে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার স্ত্রী পূর্ণিমাকে আটক করে পুলিশ। নয়নার বোন আগস্ট মাসে তার বোনের একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করেন এবং তদন্তের সময় পুলিশ মনোহর শুক্লার সম্পর্কে জানতে পারে। মৃতা নয়না মাহাত পেশায় একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট বলে জানা যায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পরে অভিযোগ স্বিকার করেছেন অভিযুক্ত মনোহর। জানা যায়, ২০১৩ সালে মনোহরের প্রতিবেশী ছিলেন নয়না। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে পূর্নিমাকে বিবাহ করেন মনোহর। তবে গোপনে নয়নার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল তার। পরে তার স্ত্রী পূর্নিমা এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। তার ঠিক ১ মাস পরেই নয়নার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তার বোন।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে এক সঙ্গে তিন জনের মৃত্যু, ঘটনায় আহত আরও দু’জন! বর্ধমানের ঘটনায় চাঞ্চল্য
মনোহরকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানা যায়, ২০১৯ সালে মনোহরের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও হামলার মামলা করেন নয়না। সেই ২ মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাই তাকে হত্যা করা হয়।৯ অগাস্ট মনোহরের বাড়ির সিসিটিভি থেকে একাধিক প্রমাণ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে একটি বিকৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। যার ট্যাটু দেখে এই দেহ প্রাথমিক ভাবে নয়নার বলে অনুমান করছে পুলিশ । উদ্ধার করা মৃত দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।