নিজের স্ত্রীকে হত্যা করার পরে জয়রাম মূর্মূ তাঁর দেহ বস্তায় ভরে জামসেদপুর এলাকার এমজিএম পুলিশ স্টেশনের পাশের একটি নালায় ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: ‘রাজা রঘুবংশীর মতো মরতে চাই না’, স্ত্রীর পরকীয়া আঁচ করেই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন যুবকের
রবিবার, ওই তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় তাঁর দুই পা বাঁধা ছিল। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ, জানা যায় দুই বছর আগে সোনিয়া নামে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন জয়রাম। জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের বালিগুমা এলাকার বাসিন্দা তাঁর স্ত্রীর প্রতি রাগ ছিল। কারণ, তাঁর স্ত্রী বেশ কিছু যুবকের সঙ্গে কথা বলত। আর এতেই রেগে যান জয়রাম। সেখান থেকেই ঘটিয়ে ফেলেন এমন কাণ্ড!
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলা বললেই ‘বিদেশি’? চাপে পড়ে ‘বাংলাদেশি’ মন্তব্য থেকে সোজা ‘U-Turn’ হিমন্ত বিশ্বশর্মার
ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ১৩ জুলাই এই বিষয়টি নিয়েই প্রবল অশান্তি হয় ওই দম্পতির মধ্যে। এরপরে স্ত্রীকে বুঝিয়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি সামনে আনেন ওই যুবক। ওই তরুণীর সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল। সেখানেই খাওয়া দাওয়া করার পরে ওই তরুণীর দুই বন্ধু ঘুমিয়ে পড়ার পর, দম্পতি অন্য একটি ঘরে যান। সেখানেই স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরার অছিলায় গলা কেটে দেন জয়রাম। এরপরে তাঁর দেহ বস্তায় ভরে দেন। তরুণীর বন্ধুদের হাঁড়িয়া খাইয়ে দেন ওই যুবক ফলে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ওই দুইজন। তদন্তের প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।