ব্যাপারটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, দুপুরের খাবারে শাক-সবজি না থাকায় স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে প্রথমে প্রবল ঝগড়া শুরু হয় মহল্লা জোগিয়ানের বাসিন্দা ইবান আলীর। এই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ইবান তার স্ত্রী শাহনাজকে প্যান দিয়ে মাথায় কয়েকবার সজোড়ে আঘাত করে৷ এরপরেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ঘর।
আরও পড়ুন: ‘না নিজে বিয়ে করছিল, না আমায় করতে দিচ্ছিল’, কাণপুর হত্যাকাণ্ডে বিষ্ফোরক অভিযোগ জিম ট্রেনারের!
advertisement
ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে শেহনাজের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। এই সময় শেহনাজের দুই মেয়ে সোনম ও আলেয়া মাকে বাঁচাতে চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে৷ তাদের চিৎকারে দ্রুত প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও লাভ হয়নি৷ শেহনাজের মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশীরা পুরো ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত স্বামী ইবানকে আটক করে। এরিয়া অফিসার (সিও) এসএন বৈভব পান্ডে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্তের জন্য ফরেনসিক দলকে ডেকেছেন। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!
মেয়েদের সামনে অভিযুক্ত ইবান যখন তার স্ত্রীকে হত্যা করে, তখন তার দুই মেয়েও সেখানে উপস্থিত ছিল। বাবাকে প্যান দিয়ে আক্রমণ করতে দেখে দুই মেয়েই কাঁদতে থাকে। তারা দুজনই প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য ডাকেন। তিনি যখন সাহায্য নিয়ে আসেন, তখন পুরো ঘর রক্তে ভরে গিয়েছিল এবং শেহনাজ প্রাণ হারিয়েছেন।