পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণের দুই বাসিন্দা গুরু শেখর ও সমীর রাজুরকরকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সতীশ। ট্রেকিংয়ের জন্য তাঁরা কালসুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আর পথেই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে আকোলে পুলিশ স্টেশনের সিনিয়র ইনসপেক্টর অভয় পারমার জানান, ট্রেকিংয়ের জন্য কালসুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথ হারিয়ে গুগল ম্যাপের সাহায্য নেন। এর পরই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই গাড়িটি যেখানে পৌঁছেছিল, সেখানে একটি ড্যাম রয়েছে। তবে বছরে মাত্র আট মাস এই ড্যামের উপর দিয়ে যাতায়াত হয়। বাকি চার মাস ড্যামটি জলের তলায় থাকে। কারণ বর্ষাকালের পরের দিকে জল ছাড়া হয়। সম্প্রতি, কর্তৃপক্ষের তরফে পিমপালগাঁও ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু এই তথ্য ছিল না গুগল ম্যাপের অ্যালগরিদমে। এর জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ওয়ার্নিং বোর্ডও রাখা ছিল না।
advertisement
জলে যাওয়া মাত্রই ডুবতে শুরু করে গাড়িটি। এই পরিস্থিতিতে দু'জন কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সতীশ ঘুলে সাঁতার কাটতে জানতেন না। আর এর জেরেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি দুর্ঘটনাস্থানে পৌঁছায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘুলের মৃতদেহর পাশাপাশি গাড়িটিকে উদ্ধার করতে সাহায্য করে স্থানীয়রা। কিন্তু একটি বিষয় এখনও রহস্য! জল দেখার পর কেনই বা অন্য রাস্তা নেননি ওই চালক? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই দুর্ঘটনা প্রথমবার নয়। গুগল ম্যাপ-এর ভরসায় বেশ কয়েকবার একই রকম সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। গত বছর ডিসেম্বরে রাশিয়ার এক তরুণ গুগল ম্যাপে লোকেশন ট্র্যাক করে এগোচ্ছিলেন। এমন সময় একটি ভুল রাস্তায় চলে যান তিনি। সেই অপরিচিত রাস্তার পরিবেশও বড় দুর্গম ছিল। তাপমাত্রা ছিল প্রায় -৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি। শেষমেশ তুষারপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় তার। ভুল লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের জেরে ২০১৯ সালেও একই দুর্ঘটনা ঘটে। নদীতে গাড়ি নিয়ে চলে যান বালির এক বাসিন্দা। তবে সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান তিনি।