শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধরা পড়তেই হল কর্ণাটকের বাসিন্দা ৭২ বছরের হনুমানটাপ্পাকে৷ কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সালে নিজের তৃতীয় স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ একটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন হনুমানটাপ্পা৷ এর পর সেই মৃতদেহ ভর্তি ব্যাগ একটি বাসের মধ্যে রেখে উধাও হয়ে যান তিনি৷ তদন্ত নামে কর্ণাটকের গঙ্গাবতি থানার পুলিশ৷
advertisement
সেই সময় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কর্ণাটকে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল৷ ঘটনার সময় ৪৯ বছর বয়স ছিলেন হনুমানটাপ্পার৷ যদিও অনেক চেষ্টার পরেও তাঁকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ৷ রায়চুর জেলার হলধল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন হনুমানটাপ্পা৷ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জুনিয়র হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি করতেন তিনি৷
এর পর কেটে গিয়েছে একে একে ২৩ বছর৷ গত দুই দশকে আরও অসংখ্য অপরাধের ভিড়ে চাপা পড়ে গিয়েছিল হনুমানটাপ্পার এই ঘটনা৷ কিন্তু পুলিশের খাতা থেকেই সেই অপরাধ মুছে যায়নি৷ কয়েকদিন আগেই গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, হলধলে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন হনুমানটাপ্পা৷ সেখান থেকেই ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এত বছর ধরে কর্ণাটকেরই বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন হনুমানটাপ্পা৷ স্থানীয় কারও সাহায্যেই হনুমানটাপ্পা পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷