সাম্প্রতিক সময় জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব অনেকখানি বেড়েছে। বিজেপির বিরোধী প্রধান মুখ যে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কথা বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা- স্ট্যালিন বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এখনও অনেকটা সময় বাকি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- 'এটাই তো রাজনীতি', ঘাটালে দাঁড়িয়েই 'বন্ধু' হিরণকে জবাব দিলেন দেব
এর আগেও বেশ কয়েক দফা আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময় রাজ্যে তৃণমূলের একাধিক নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির হাতে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল যে তার জায়গা মজবুত করে রেখেছে এবং তার ওপর যাতে কোনও আঁচ না লাগে তার নিশ্চিত করতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতা আসার পর থেকেই দিল্লি রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করার দিকেই নজর দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের বাইরে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে। ত্রিপুরা, গোয়ায় সংগঠন তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতার সঙ্গেও আলোচনায় বসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি ৷ পাশাপাশি রয়েছেন এন সি পি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে গিয়ে বাড়িতে গিয়েও দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৈঠক করতে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার লা গণেশনের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী চেন্নাই সফর হলেও জাতীয় রাজনীতির অন্যতম নজর বুধবারের বিকেলের বৈঠকে।