পাশাপাশি কিরণময় নন্দ জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে (Uttar Pradesh Elections 2022) কোনও আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না বলে তাঁকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উত্তর প্রদেশের সব আসনেই সপা-কে সমর্থন করবে তৃণমূল৷ ঠিক যেভাবে বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি৷ কিরণময় নন্দ জানিয়েছেন, গত পরশু দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে অখিলেশ যাদবের৷
advertisement
আরও পড়ুন: কমেডিয়ান থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী! ভগবন্ত মানকে মুখ করে পঞ্জাবে লড়াইয়ের শুরু আপের
তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কিরণময় নন্দ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নন, শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী নন, বাংলায় ২০২১ সালের নির্বাচনের পর তিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে জাতীয় মুখ হয়ে উঠেছেন৷ আমরা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-কে একসঙ্গে হারাতে চাই, মানুষকে এই বার্তা দেওয়াই লক্ষ্য৷ '
কিরণময় নন্দ আরও জানিয়েছেন, 'সারা দেশের মানুষ উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে৷ বিজেপি-কে শুধু পরাজিত করাই নয়, পর্যুদস্ত করাই লক্ষ্য৷ উত্তর প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷ ২০২১ সালে বাংলার নির্বাতনে মমতার সাফল্যে বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে৷ তিনি উত্তর প্রদেশে প্রচারে গেলে আমাদের কর্মীরা তো বটেই, উত্তর প্রদেশে বিজেপি বিরোধী বিপুল সংখ্যক মানুষও উদ্বুদ্ধ হবেন৷'
আরও পড়ুন: ভোটে দাঁড়ান শুধুই হারার জন্য? ৯৩ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন এই ব্যক্তি
কিরণময় নন্দ অভিযোগ করেন, বিজেপি-র অঙ্গুলি হেলনেই নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশে সমস্ত সভা বন্ধ করে দিয়েছে৷ লখনউতে সমাজবাদী পার্টির সদর দফতরও পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷ সেই কারণেই এবার উত্তর প্রদেশে ভার্চুয়াল প্রচার করতে হচ্ছে৷ তবে বেনারসের ভার্চুয়াল সভা কবে হবে, তা পরে ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন কিরণময় নন্দ৷
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশে নির্বাচন শুরু হচ্ছে৷ তার ঠিক আগেই সেখানে প্রচারে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লখনউতে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভার পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করবেন তৃণমূলনেত্রী৷
তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই বলে এসেছে, যে রাজ্যে বিজেপি-র বিরুদ্ধে যারা শক্তিশালী, তাদেরকেই সমর্থন করবে তারা৷ উত্তর প্রদেশ নির্বাচনেও নিজেরা না লড়ে সেই বার্তাই দিল তৃণমূল৷ যা ২০২৪-এ বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৃণমূলের বড় বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
