সম্প্রতি ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় বন্দি অনেকের মধ্যে সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজের (Sudha Bharadwaj) জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে দেশদ্রোহীতার আইনে এখনও বন্দি রয়েছেন অনেকে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন স্বরা। মমতা তার উত্তরে বললেন, " ইউএপিএ (UAPA) বিদ্বজন বা সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগ করার মতো কোনও আইন নয়। আমাদের দেশে কিছু আইন আছে, যা দেশের আভন্ত্যরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সেই আইন অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ যদি কেন্দ্রের বিরোধিতা করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমাদের রাজ্যে কত জনকে ইউএপিএ দেওয়া হয়েছে, তা মনেও করতে পারি না। আমরা ছত্রধর মাহাতোকে মুক্তি দিয়েছিলাম, কিন্তু ঝাড়খণ্ডের একটি মামলায় তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার মতো মহিলাদের রাজনীতিতে চাই, স্বরার বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া মমতার
এই নিয়ে টাডা প্রসঙ্গও টেনে আনেন মমতা, বলেন তিনি এই আইনের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছিলেন। পাশাপাশি, স্বরার প্রশ্নের উত্তরে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপি-র শাসনের অবসানের পর যদি তাঁর হাতে কোনও সুযোগ আসে, বা তাঁর দল সুযোগ পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগ করা যায়, এমন কোনও কঠোর, দানবীয় আইন তাঁরা রাখবেন না। সঙ্গে সঙ্গে ফের হাততালিতে ফেটে পড়েন সকলে।
আরও পড়ুন: 'বিজেপির ক্ষমতার শিকার শাহরুখ খান', মুম্বইতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উপস্থিত বিদ্বজনদের মধ্যে মেধা পাঠকর বা স্বরা ভাস্করের মতো মানুষরা ছিলেন, যাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশদ্রোহীতা অভিযোগে প্রয়োগ করা আইন নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন। বন্দিমুক্তি আন্দোলনের সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত রয়েছেন মেধার মতো মানুষ। সব মিলিয়ে ইউএপিএ নিয়ে মত আরও এক বার মমতার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করল দেশের কাছে।