মেঘালয়ের সমস্যাকে দিল্লির দরবার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলের মতে, মেঘালয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিধায়ক-সাংসদদের নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন জাতীয় স্তরে নেতারা। ইতিমধ্যেই দু'দফায় মেঘালয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শিলং ও তুরায় দলীয় কার্যালয় চালু হয়েছে। অভিষেক জানিয়েছিলেন, “সবাইকে ধন্যবাদ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য৷ এখনও ভোটের ছয় মাস বাকি আছে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলবে। ২০১৮ সালে মানুষের ভোটে যারা ক্ষমতায় এল তারা কাজ করছে না। এই সরকার বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে আছে।”
advertisement
আরও পড়ুন- আজ মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা ও অভিষেক দু’জনেই
মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিল বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় তা দেখিয়ে দিয়েছি।”
মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয়, তা প্রমাণ করতে অভিষেক জানিয়েছেন, তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা। অভিষেক আরও জানিয়েছিলেন, “এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে, বিজেপি-কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।”
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহেরের বাড়িতে কুণাল ঘোষ! আইনি সাহায্যের আশ্বাস মা-কে!
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “এখানে এক মুখ্যমন্ত্রী আছেন, যিনি এই রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে না থেকে দিল্লিতে ডিনার পার্টি যোগ দেন ৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করছি, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?”এই লড়াই যে শুধুমাত্র ২০২৩-এর বিধানসভার নয় বরং ২০২৪-এর লোকসভার জন্যও তা স্পষ্ট করে দিয়ে তৃণমূলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, “আমি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করলাম। সব জায়গায় সব বাড়িতে আমরা যাব। মিসড কল দিন ৯৬৮৭৭ ৯৬৮৭৭ নম্বরে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এই দুর্নীতি যুক্ত সরকারকে সরাতেই হবে। কনরাড সংমা মিথ্যা কথা বলে সরকারে এসেছেন। ২০২৪-এ গণতান্ত্রিক সূর্য পূর্ব দিক থেকেই উঠবে।”