দিনকয়েক আগে প্রশান্ত কিশোর একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের বলেন, "ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি। জিতুক বা হারুক, ঠিক যেমনটা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ছিল ৪০ বছর। তেমনই হঠাৎ বিজেপি চলে যাবে না।"
প্রশান্ত কিশোরের এই কথা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই বলতে থাকেন, প্রশান্ত কিশোর বলতে চাইছেন, কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকবে বিজেপিই। কিশোরী জোটের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিলেন- এমন কথাও বলতে থাকেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন-অভিষেকের সভার আগের দিনই এল পুলিশের চিঠি, নতুন 'যুদ্ধের' অঙ্গীকার নিচ্ছে তৃণমূল
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট। তাঁর নিজস্ব মত থাকতেই পারে। তৃণমূলের আর কাউকে এই নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি। অবশেষে মুখ খুললেন মমতাই। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গ উঠতে প্রথমেই বললেন, প্রশান্ত কিশোর যা বলেছেন তার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ছেলেকে মন্নতে নিয়ে গেলেন শাহরুখ, তবে এই শর্তগুলি না মানলেই জামিন বাতিল হবে আরিয়ানের!
তিনি বলেন, " ওঁর মন্তব্যের ভুল ব্যখ্যা হয়েছে। আসলে প্রশান্ত কিশোর বলতে চাইছিলেন যে পদ্ধতিতে কংগ্রেস এগোচ্ছে তাতে বিজেপিকে প্রতিহত করা কঠিন।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওরা অতীতে সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার বদলে আমার রাজ্যে ওরা আমার সঙ্গেই লড়েছে।" উল্লেখ্য মমতার গোয়াযাত্রার দিনেই তৃণমূল জাগো বাংলায় লিখেছিল, কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল হাতগুটিয়ে বসে থাকবে না তৃণমূল। চলবে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা। আজ মমতাম মুখে সেই তত্ত্বেরই সম্প্রসারণ শোনা গেল।
প্রসঙ্গত এই দিন গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সারদেশাই দেখা করেন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি চাই আঞ্চলিক দলগুলি শক্তি বাড়াক। আমরা যদি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধরে রাখতে চাই তাহলে আমাদের রাজ্যগুলিতে শক্তি বাড়াতে হবে। মমতার কড়া দাওয়াই, দিল্লির দাদাগিরি মানব না, যথেষ্ট হয়েছে।"