মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Casted Vote) প্রতিটি ভোটেই ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন ঘড়ি ধরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। এপ্রিল মাসে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নিজের তৈরি করা নিয়ম ভেঙেছিলেন। মিত্র ইন্সটিটিউশানে ভোট দিতে ঢুকেছিলেন তখন, ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট। গোটা প্রক্রিয়াটা সারতে ছয় মিনিট সময় নিয়েছিলেন তিনি। ভোট দিয়ে বেড়িয়ে এসে সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে জয়ের চিহ্ন দেখিয়ে ছিলেন দুই আঙুল তুলে। ২১ এর বিধানসভা ভোটে তিনি জয় হাসিল করে নিয়েছিলেন হাসতে হাসতেই।
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের ক্ষত তখনও সারেনি। চলাফেরাও তাই ছিল হুইল চেয়ারেই। কমিশনের তরফেও বিশেষ র্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল নিয়ম মেনেই। এই র্যাম্প অবশ্য প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা সুনিশ্চিত করার জন্য। গতবার দেহরক্ষীর সহযোগিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই র্যাম্পে উঠেই ইভিএম-এর বোতাম টেপেন। এবার অবশ্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চেনা মিত্র ইন্সটিটিউটে ঢুকে যান তিনি। গতবার অর্থাৎ এপ্রিল মাসে এই ভোট কেন্দ্রে আসার আগে মমতা সেদিন ঝড় তুলেছিলেন উত্তর কলকাতার প্রচারে।
আরও পড়ুন-নেত্রীকে জেতা আসন হেলায় দিয়ে দিয়েছিলেন, আজ ভোট দিয়ে মুখ খুললেন শোভনদেব
এবার অবশ্য আবহাওয়া আলাদা। মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই প্রার্থী (Bhabanipur by Election)। আর এবারের ভোট প্রচারে তিনি লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী-শাহ ও বিজেপিকে। এমনকী রেওয়াত করেননি কংগ্রেসকেও। কারণ এবার আর বাংলা দখল নয়। মমতার নজর দিল্লির মসনদে।
উল্লেখ্য এপ্রিল মাসে মমতা ছিলেন স্রেফ এই কেন্দ্রের ভোটার। তিনি নিজের নিয়ম ভেঙেই ২০২১ এর ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। আর এই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর একান্ত অনুগত রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ, যিনি ভোটের মুখে তৃণমূল সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রুদ্রনীলকে ২৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই আসন ছেড়ে দেন শোভনদেব। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আর বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দহের প্রার্থী।