ইতিমধ্যেই লাগাতার প্রচার সেরে গিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মেঘালয়ের নির্বাচন জিততে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। এই অবস্থায় মেঘালয়ের শেষ মুহূর্তের প্রচার থেকে ঝড় তুলতে চায় জোড়া ফুল শিবির। যে কয়েকটি বিষয়ের উপরে জোর দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ে লড়াই করছে তা হল,
১) সামাজিক প্রকল্পের প্রসার৷ ২) সবার ঘরে ঘরে খাদ্য নিয়ে যাওয়া।৩) কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের আর্থিক সাহায্য। এ ছাড়া কৃষিজাত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রির ব্যবস্থা।৪) স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথাযথ করা৷ বিশেষ করি নতুন মেডিক্যাল কলেজ। মহিলা ও শিশুদের জন্য হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসাথীর ধাঁচে মেঘালয় স্বাস্থ্য বিমা ও ওষুধের দোকানে ছাড়।৫) প্রতি ব্লকে মডেল স্কুল। শিক্ষার মান বৃদ্ধি।৬) ঘরে ঘরে জল। ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ৷ এছাড়া ভালো সড়কপথ। ৭) মিউজিক, স্পোর্টস, হেরিটেজের জন্যব্লক লেভেলে কাজ হবে। স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি। প্রতি জেলায় স্টেডিয়াম। মিউজিক প্রমোশন বোর্ড। পর্যটনের আরও প্রচার।৮) ঐতিহাসিক স্থান, ধর্মীয় স্থানের যথাযথ সংরক্ষণ। ৯) অসম-মেঘালয় সীমানা সমস্যা মেটানো। চেক পোস্ট থাকতেই হবে৷ ১০) WE card ও MYE Card চালু করা৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'বঙ্গ ভঙ্গ করতে দেবো না', শিলিগুড়ি পৌঁছেই চ্যালেঞ্জ মমতার! বনধ নিয়েও হুঁশিয়ারি
ইতিমধ্যেই মেঘালয়ে ভিশন ডকুমেন্টস প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, "এটা একটা বই নয়। যেখানে ১০ টি পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর আমরা এটা করেই দেখাবো। আমাদের মিশন মেঘালয়ে রাজ্যের মানুষের জন্যই কাজ করার কথা উল্লেখ আছে। সাধারণ মানুষের কথা শুনেই কাজ করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী হবে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজেপি, এনপিপি-র মতো দলগুলিকে আক্রমণ করে অভিষেক আরও বলেছিলেন, 'বিরোধীরা বলছে, আমরা নাকি বহিরাগত দল। আমরা নাকি মেঘালয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যারা আমাদের চ্যালেঞ্জ করছেন, তারা মেঘালয় নিয়ে কোনও ভিশন প্রকাশ করতে পারেনি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের নাম নিচ্ছি না। রাজ্যের জন্য কে, কী, করেছেন রাজ্যের জন্য তা মানুষ দেখতে পাচ্ছে।আমরা একমাত্র দল যারা শুধু কথা বলে থেমে থাকি না। আমরা কাজটাও করি। আমার কথা একটাই যা এখানে বলেছি, তাতে সরকারে আসলে আমরা ১০০ দিনে এই কাজ করে দেখাবো।অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যে কাজ করব বলছি, আর্থিক সাহায্য করছি, তাতে আমাদের কাছে এত অর্থ আসবে কোথা থেকে? এই রাজ্যেই অর্থ আছে। যার অধিকার আছে এই রাজ্যের মানুষেরই। আমরা সেটি পাইয়ে দিতে সচেষ্ট।এখানে গত ৫ বছর ধরে একটা অপদার্থ সরকার চলছে।'