২১ জুলাইয়ের সমাবেশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়েছিলেন, তাঁর লক্ষ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। গত মে মাসে রেড রোডের শপথ মঞ্চে তার মহড়া হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সংসদ ভবনের ছবি বোঝাল, সে প্রক্রিয়া ক্রমশ গতি পাচ্ছে।
এদিন সংসদে তৃণমূলের সংসদীয় দলের ঘরে মমতার দর্শনপ্রার্থী একঝাঁক আঞ্চলিক দলের নেতা। ডিএমকে-র কানিমোঝি, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, বিজেডির দিলীপ তিরকে, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
advertisement
সন্ধেয় এই প্রক্রিয়া আরও দানা বাঁধে। সন্ধেয় দিল্লি পৌঁছন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও জেডিএস প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে বৈঠক করে মমতার কাছে যান তিনি। সাউথ অ্যাভিনিউয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে তাঁদের বৈঠক হয়। মূলত দু’টি লক্ষ্য সামনে রেখে আঞ্চলিক দলগুলি কাছাকাছি আসতে চাইছে। রাজ্যের অধিকার আদায়ের দাবি জোরালো করতে মুখ্যমন্ত্রীদের মঞ্চ তৈরি। এই মঞ্চকে ক্রমশ রাজনৈতিক চেহারা দিয়ে ফেডারেল ফ্রন্টকে বাস্তবায়িত করা।
এই উদ্যোগেই মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকের মতো সেখানেও রাজ্যগুলির পক্ষে সওয়াল করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে চান না বলে একুশের সমাবেশে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের জন্য জমি তৈরির কাজ তিনি শুরু করে দিয়েছেন।