আগামী ১০ অক্টোবর রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতরে খাড়গেকে স্বাগত জানানো হবে। তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি। ১২ অক্টোবর রাজ্যে প্রচারে আসবেন শশী থারুর। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। দলীয় কোন্দলকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ করে বিজেপি। সভাপতি পদে লড়াই করার কথা ছিল অশোক গেহলতের। তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসতে পারেন, এমনটা আন্দাজ করার পরেই রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয় বিতর্ক।
advertisement
আরও পড়ুন: সরিয়ে দেওয়া হল সুদীপকে, চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়!
সেই বিতর্কেই ঘি ঢালেন অশোক গেহলট। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি লড়াই করবেন না। এরই মধ্যে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান দিগ্বিজয় সিং। মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো সিনিয়র নেতা প্রার্থী হওয়ায় সরে দাঁড়ান তিনি। এর আগে সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
গত শুক্রবার ছিল কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার একদিন আগে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং।
শশী থারুরকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উৎসাহ দেখায়নি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের লড়াইটা এবার আরও বেশি কঠিন৷ এবার দুই হেভিওয়েটের লড়াই। লড়াইটা সরাসরি শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুন খাড়গের৷ মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি৷ শশী এমনও জানান, যে ২৩ জন নেতা ২০২০ সালে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধিকে সাংগঠনিক সংস্কার চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন। থারুরের মতে, 'একজন নতুন সভাপতি নির্বাচন করা আসলে দলের পুনরুজ্জীবনের একটি সূচনা, যা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের খুব প্রয়োজন৷'