প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে না গেলেও রেকর্ড করা বিবৃতিতে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি৷ দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে অতীতের প্রধানমন্ত্রীদেরও যে অবদান রয়েছে সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি৷
এ দিন লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই দর্শকাসনের মধ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম লেখা ফাঁকা চেয়ারের ছবি ধরা পড়ে৷ লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে না এলেও নিজের বাস ভবন এবং তার পরে এই প্রথমবার দলের সভাপতি হিসেবে কংগ্রেস সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ এর পরেই মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি৷ সাধারণত স্বাধীনতা দিবসের দিন বিপক্ষ শিবিরকে আক্রমণ অথবা সমালোচনার পথে হাঁটে না কংগ্রেস৷ এবার অবশ্য তার ব্যতিক্রম ঘটালেন খাড়গে৷
advertisement
কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, চোখের একটি সমস্যার কারণেই লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি তিনি৷ তার উপর নিজের বাস ভবন এবং কংগ্রেস দফতরেও পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল তাঁর৷ খাড়গে দাবি করেন, লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে গেলে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং অধ্যক্ষ বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কাউকে সেখান থেকে বেরোতে দেওয়া হয় না। তাই লাল কেল্লায় গেলে দলীয় দফতর এবং নিজের বাড়ির কর্মসূচিতে দেরি হয়ে যেত তাঁর।
ভিডিও বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি মহাত্মা গান্ধি, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের অবদানের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি, পি ভি নপসিমহা রাও, মনমোহন সিংদের পাশাপাশি অটল বিহারী বাজপেয়ীরও নাম উল্লেখ করেন কংগ্রেস সভাপতি৷
খাড়গে বলেন, ‘দেশের অগ্রগতিতে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীই অবদান রেখেছেন৷ এখন অবশ্য কিছু মানুষ বোঝানোর চেষ্টা করছেন গত কয়েক বছরেই যা উন্নয়ন হওয়ার হয়েছে৷’
নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে খাড়গে আরও বলেন, ‘বড় নেতা কখনওই অতীতকে মুছে দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায় না? ওরা সব কিছুর নাম বদল করছে৷ অতীতে শুরু হওয়া কর্মসূচি, পরিকাঠামোগত প্রকল্প সব কিছুর নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে৷ একনায়কের মতো গণতন্ত্রকে ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে৷ এখন যে আইনগুলি মাধ্যমে দেশে এতদিন শান্তি বজায় ছিল, সেগুলিরও নাম বদল দেওয়া হচ্ছে৷ প্রথম বলা হল অচ্ছে দিন, তার পরে হল নতুন ভারত আর এখন অমৃত কালের কথা বলা হচ্ছে৷ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই নাম বদল করা হচ্ছে না তো?’
এ দিন লাল কেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীও৷ দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, তোষণ থেকে দেশকে মুক্ত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷ লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে না এসে তারই জবাব দিলেন কংগ্রেস সভাপতি৷ যদিও খাড়গের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছে বিজেপি শিবিরও৷