পরিবারের কর্তা নীলকণ্ঠ কয়েক বছর আগে একজোড়া কেউটেকে তাঁর বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করতে দেখেন৷ তাড়িয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সর্পযুগলের থাকা বন্দোবস্ত করে দেন তিনি৷ দুধ দিয়ে সেবা করার পাশাপাশি পুজোও করেন সর্পদেবতাদের৷ বাড়ির তিন ঘরের মধ্যে দু’টি ঘর বরাদ্দ ছিল সাপেদের জন্যই ৷ প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার তাদের পুজো করা হত৷ স্থানীয় এলাকায় নীলকণ্ঠ ভূমিয়ার বাড়ির পরিচয় ‘সাপেদের বাড়ি’ হিসেবে৷ সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বাড়ির কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে চর্চা৷
advertisement
আরও পড়ুন : এলইডি টিভি বিস্ফোরণে নিহত ১ কিশোর, আহত ৩, ধসে পড়ল বাড়ির একাংশ
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডে খাদে পড়ল বিয়েবাড়ির বাস, মৃত অন্তত ২৫, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২০
নীলকণ্ঠর মেয়ে লক্ষ্মী কাবাসী জানিয়েছেন, ‘‘আমি সাপেদের দুধ খাওয়াতাম৷ এখন আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ আমার বিয়ের পরও বাপের বাড়ির লোকজন সাপেদের সেবা করছে৷ আমাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার৷ কোনওদিন আমাদের কোনও অসুবিধে হয়নি সাপ নিয়ে৷’’ তবে সর্প বিশেষজ্ঞদের মত, বিষধর সাপেদের সঙ্গে বসবাস বিপজ্জনক৷ তাঁর মত, সাপ কোনওদিন দুধ পান করে না৷ তাই বিষধর সাপকে বাড়িতে রেখে দেওয়াও তাঁর মতে উচিত নয়৷