সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, "যারা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়, তাদের ত্রিপুরার সর্বত্র আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা"। কিন্তু তা বলে বসে থাকলে হবে না। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সুস্মিতা জানিয়েছেন, "ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজেপিকে নির্বাচনে সাহায্য করতে এবং ত্রিপুরায় সরকার গঠনের জন্যে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি মিসড কলের মাধ্যমে প্রত্যেকে চাকরি নিশ্চিত করবে, যদি এখানে চাকরি না থাকে কিন্তু তারা ভোটে জেতার পর থেকে ডাঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা কখনোই ত্রিপুরায় আসেননি।"
advertisement
ত্রিপুরায় চাকরি দেবার নাম করেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি৷ এই ইস্যুকে সামনে রেখেই ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক বলছেন, "ত্রিপুরায় বাম সরকার কিছুই করেনি৷ তারপর বিজেপি সরকার বাকি যা ছিল তাই করেছে৷ তারা ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং বিদেশ থেকে কালো টাকা আনার জন্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা প্রত্যেক ভারতীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। ভারতীয় অর্থনীতি সর্বকালের তুলনায় সবচেয়ে নীচে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গেলেও ভারত সরকার দাম বাড়িয়েছে। সেই অনুপাতে পড়শি রাজ্যে বাংলায় একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে৷ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ত্রিপুরায় নজর রেখেছেন৷ তিনি বলেছেন যদি কেউ ত্রিপুরায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের আক্রমণ করে তাহলে উনি এই রাজ্যে এসে তাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা বাংলা থেকে এসে সরকার চালাব না। আমরা এমন নেতা তৈরি করব যারা এই রাজ্য থেকেই উঠে আসবে৷ এর জন্যে আমাদের একটা শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।"
কর্মসংস্থান থেকে মুল্যবৃদ্ধি এই সব ইস্যুকে সামনে রেখেই আগামী কয়েক মাস ত্রিপুরায় প্রচারে ঝড় তুলবে তারা। সেই কারণেই কর্মীসভা করে করে দলীয় কর্মীদের আন্দোলনের রুপরেখা বোঝাচ্ছেন ঘাস ফুলের শীর্ষ নেতারা।