বিগত চার বছর ধরে একটি বেসরকারি ভারতীয় বিমান সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন মহাশ্বেতা চক্রবর্তী (Kolkata Pilot Mahasweta Chakraborty)। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করার তিন দিন পরেই ২৭ মার্চ থেকে ৭ মার্চ অবধি বিমানে করে ভারতীয়দের ঘরে ফিরিয়েছেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে মহাশ্বেতা বলেন, “এটা একটা আজীবনের অভিজ্ঞতা, যাঁদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে তাঁরা কেউ কেউ সবে টিন এজ পেরিয়েছে, কারও বয়স সবে ২০ পেরিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধের মধ্যে প্রাণভয়ে বেঁচে থাকার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা হয়েছে ওঁদের।”
advertisement
আরও পড়ুন-
মহাশ্বেতা চক্রবর্তী (Kolkata Pilot Mahasweta Chakraborty) আরও জানিয়েছেন, তাঁকে দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা টানা এয়ারবাস A320 বিমান চালাতে হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের আতঙ্কের কাছে এই পরিশ্রম কিছুই না। বাড়ি ফিরতে মরিয়া ছিলেন ওই পড়ুয়ারা।
সেই উত্তেজনাপূর্ণ দিনগুলির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে মহাশ্বতা জানান, ২১ বছর বয়সী একটি মেয়ে মানসিক চাপের কারণে বারেবারে অজ্ঞান হতে শুরু করেছিল। “ওই মুহূর্তটা আমি কখনই ভুলব না। অর্ধ-সচেতন অবস্থায় আমার হাত চেপে ধরেছিল মেয়েটি এবং আমাকে বার বার ওর মায়ের কাছে নিয়ে যেতে বলছিল,” বলেন মহাশ্বেতা।
ইউক্রেনের ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার কর্তৃক চালু করা ‘অপারেশন গঙ্গা’ (Operation Ganga) এর অংশ ছিলেন মহাশ্বেতা। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেটের মতো সংস্থা ছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই কাজে এগিয়ে এসেছিল।
আরও পড়ুন-
“আমার এয়ারলাইন থেকে গভীর রাতে একটা ফোন আসে এবং আমাকে জানানো হয় যে উদ্ধার অভিযানের জন্য আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আমি দুই ঘণ্টার মধ্যে জিনিসপত্র প্যাক করে চলে গেলাম,” জানান তিনি।ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান আকাদেমি থেকে স্নাতক মহাশ্বেতা চক্রবর্তী (Kolkata Pilot Mahasweta Chakraborty) মহামারী চলাকালীন বন্দে ভারত মিশনেরও অংশ ছিলেন। বিদেশ থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং পুনে থেকে কলকাতা এবং অন্যান্য বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছিলেন মহাশ্বেতা।