মৃত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁকে দিয়ে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরির পাশাপাশি ভুয়ো ফিট সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন কয়েকজন পুলিশ অফিসার৷ ওই চিকিৎসক কয়েক মাস আগে পুলিশের উপর মহলে এ বিষয়ে অভিযোগও জানান৷ তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷
মহারাষ্ট্রে চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে৷ জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই গত সেপ্টেম্বর মাসে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে৷ গত ২২ সেপ্টেম্বর ফলটন গ্রামীণ থানার একজন পুলিশ অফিসার জেলার সার্জেনের কাছে মৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন৷
advertisement
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ওই তরুণী চিকিৎসক পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা এবং বাধা সৃষ্টি করছেন৷ এমন কি, তাঁর এই আচরণের জন্যই অপরাধীরা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যেতে পারে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়৷
চিঠিতে সুনীল মহাধিক নামে এক পুলিশ অফিসার আরও অভিযোগ করেন, ওই মেডিক্যাল অফিসার তাদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করেন না এবং মাঝেমধ্যেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন৷
পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ঘটনার উল্লেখ করে ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, গত মে মাসে দু জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ তখন সেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকই কর্তব্যরত ছিলেন৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে হয়রান করছে বলে অভিযোগ করে গভীর রাত পর্যন্ত ওই চিকিৎসক অভিযুক্তদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে রাজি হননি বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়৷ চিঠিতে আরও বলা হয়, মেডিক্যাল পরীক্ষা না করিয়ে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায় না বলে ওই চিকিৎসককে বোঝানো হলেও তিনি পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন বলে ২২ সেপ্টেম্বর লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছিল পুলিশ৷
এমন কি, কয়েকজন অভিযুক্ত শারীরিক ভাবে সুস্থ নন বলে দাবি করে ওই চিকিৎসক তাদের গ্রেফতারিতে বাধা দেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল৷ এমন কি, একটি ক্ষেত্রে তিনি পুলিশকর্মীদেরই ঝামেলায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়৷ এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা সার্জনকে অনুরোধ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ এমন কি, ভবিষ্যতে ওই চিকিৎসককে দিয়ে যাতে কোনও অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা না করানো হয়, সেই অনুরোধও করা হয়েছিল৷ এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই তরুণী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা সার্জন৷
যদিও গত ১৯ জুন ওই তরুণী চিকিৎসকই ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ফোন করে দু জন অফিসারের বিরুদ্ধে তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হয়রান করার অভিযোগ তুলেছিলেন৷
