ফলটন উপজেলা হাসপাতালের ওই মেডিক্যাল অফিসার আত্মঘাতী হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই পুলিশ অফিসার৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷ মৃত চিকিৎসকের সুইসাইড নোটের বয়ান জানার পর শিউরে উঠেছে গোটা দেশ৷
গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের ফলটনের একটি হোটেলের ঘর থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ নিজের হাতের তালুতে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরের কুকীর্তির কথা লিখে যান ওই তরুণী চিকিৎসক৷ তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িওয়ালার ছেলে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত বাঁকার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধেও মানসিক হয়রানির অভিযোগ তোলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, চার পাতার আরও একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছেন মৃতা চিকিৎসক৷ সেখানে তিনি একজন সাংসদের বিরুদ্ধেও তাঁকে ফোনে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন৷ আগেই প্রশান্ত বাঁকার নামে ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷
advertisement
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই মেডিক্যাল অফিসারকে চাপ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অদলবদল করা এবং ভুয়ো ফিট সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতেন ফলটনের পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ৷ সেই দুর্নীতিরই প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি৷ কয়েকমাস আগে পুলিশের উপরমহলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷
আবার এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণী চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই গত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন মামলার তদন্তে অসহযোগিতা এবং বাধা দানের অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে৷ ফলটন জেলার সার্জনের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ জানানো হয়৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ আশ্বাস দিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না৷
