আরও পড়ুন- শিবসেনা বিদ্রোহে কি মদত জোগাচ্ছে বিজেপি? 'জাতীয় দলে'র সাহায্যের উল্লেখ শিন্ডের
জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিন্ডে ছাড়াও, মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের ‘আয়োগ আধ্যক্ষ’ রাজেশ ক্ষীরসাগর, দাদা ভুসে, গুলাব রাও পাতিল, সন্দীপ ভুমরে, শম্ভুরাজে দেশাই, আবদুল সাত্তার এবং বাচ্চু কাডুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। শিন্ডে এবং দলের আরেক অসন্তুষ্ট নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রামদাস কদমও জাতীয় কার্যনির্বাহী দলের অংশ ছিলেন। রামদাস কদমের ছেলে বিধায়ক যোগেশ কদম গুয়াহাটির বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
advertisement
উদ্ধব ঠাকরেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতীয় কার্যনির্বাহী। “কার্যনির্বাহী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিবসেনা বাল ঠাকরের এবং তাঁর হিন্দুত্ব ও মারাঠি গর্বের উগ্র আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিবসেনা কখনই এই পথ থেকে বিচ্যুত হবে না,” বলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি আরও বলেন, “একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সমস্ত ক্ষমতা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরেকে শিবসেনা দিয়েছে।”
আরও পড়ুন- "শিবের মতো বিষপান করে যন্ত্রণা সয়েছেন মোদিজি": গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গে অমিত শাহ!
২২ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর বাসভবন ‘মাতোশ্রী’ থেকে সভার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল উদ্ধবের। তবে, তিনি মধ্য মুম্বইয়ের দাদরে দলের সদর দফতর শিবসেনা ভবনে পৌঁছেছেন। শিবসেনা ইতিমধ্যেই ১৬ বিদ্রোহী বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার আবেদন করেছে। রাজ্যসভার সদস্য অনিল দেশাই বলেন, “জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার কার্যবিবরণী নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।”
উদ্ধব শুক্রবার জানিয়েছিলেন, কর্মীরা যদি মনে করেন তিনি দল চালাতে অক্ষম তবে সভাপতির পদ ছাড়তে প্রস্তুত তিনি। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী।